আওয়ামী লীগের আমলে মানুষের ভাতের কষ্ট নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এক সময় দেশের মানুষ ‘ভাতের ভ্যান’ ভাতের মার খেত। লবণ দিয়ে ভাতের মাড় খেতেও মানুষকে হিমশিম খেতে হতো। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ডেস্ক রিপোর্টঃ
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আহ্বান করেছিলাম, কোনো ইফতার পার্টি নয়। আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করব। আমি ধন্যবাদ জানাই, আমাদের নেতাকর্মীদের তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই কভিড ১৯ এর মতো। সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযাগী সংগঠন, ইফতার বিলি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কাউকে ইফতার দেয় না। ইফতার পার্টি খায়। আল্লাহ রাসুলের নাম নিয়ে ইফতার পার্টি খায় আর আওয়ামী লীগের গিবত গায়।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? এই দেশ স্বাধীন করেছে, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এটা অপরাধ? দেশটাকে উন্নত করছে এটা অপরাধ?
আলোচনা সভায় বাবা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটা বিশ্বাস সবসময় ছিল যে বাঙালিরা তাকে কখনো মারবে না। অনেকেই তাকে সাবধান করেছেন। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেননি। বলেছেন, ‘না ওরা তো আমার ছেলের মতো। আমাকে কেন মারবে।’ বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে এতো গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন যে, এ দেশের কোনো মানুষ তার গায়ে হাত দেবে, তাকে হত্যা করবে তিনি ভাবতে পারেননি। কিন্তু আমরা দেখলাম, যারা আমাদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত এসেছে, আমার মায়ের হাতের খাবার খেয়েছে। ১৫ আগস্ট তারাই ঘাতক হিসেবে হত্যাকাণ্ড চালালো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমলে দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকত। দুর্ভিক্ষের সময় সেই ছোট্ট খোকা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) তার বাবার ধানের গোলা খুলে দিয়ে গরিব মানুষকে সাহায্য করেছে। এভাবেই ছোটোবেলা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে মানুষের প্রতি দরদ ও কর্তব্যবোধ জেগে উঠে। আমার দাদা-দাদি তার খোকাকে যেভাবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করেছেন, সেটিও বিরল ঘটনা।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এবং তার লেখা বইগুলো নেতাকর্মীদের পড়া উচিত। তিনি অত্যন্ত সাদাসিদে জীবন-যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।