আজাদুর রহমান:
বগুড়ার সুখানপুকুর রেল স্টেশনে আবারও ‘ফোর নাইনটি কলেজ ট্রেন’ লাইনচ্যুত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বোনারপাড়া থেকে সান্তাহারগামী ট্রেনটি লাইনচুত হয়। এ কারণে এই রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া রেলস্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু। তিনি বলেন, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় এ পথে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে ২৫ জুন ও ৩০ জুন একই ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। এ নিয়ে এক সপ্তাহে তিনবার ট্রেনটি লাইনচ্যুত হলো।
সোনাতলা থেকে আসা বগুড়ায় বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, তারা বগুড়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, দৈনন্দিন গ্রাম থেকে বগুড়া শহরে এসে ভাড়ায় রিকশা চালিয়ে, বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করে, অথবা ছোটখাটো ব্যবসা করে তাদের দৈনন্দিন জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। তাই এভাবে দিনের পর দিন রেল দুর্ঘটনার কারণে তাদের আর শহরে আসা হয় না তাই কষ্টের মধ্যেই জীবন পার করে পরিবার নিয়ে।
কোরবান আলী নামে একজন কলা বিক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান, গ্রামের ফসলী জমি থেকে বাগানের কলা কিনে প্রতিদিন শহরে এসে তা বিক্রি করি। যা লাভ হয় সেখান থেকে পরিবারের জন্য খরচ করি ছেলে মেয়ের লেখাপড়া অন্যান্য খরচসহ কোনোভাবে দিন পার করি। কয়েকদিনে এই গাড়িটি তিনবার নষ্ট হল আমার আর ব্যবসা হল না।
এদিকে বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় বুড়িমারী-সান্তাহার-ঢাকা পথে চলাচলকারী আন্তনগর ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রাত ১২টায় বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বগুড়া রেলস্টেশনে পৌঁছার কথা।
বগুড়া রেলস্টেশনের মাস্টার সাজেদুর রহমান বলেন, নির্ধারিত সময়ে সান্তাহার থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বোনারপাড়াগামী ‘ফোর নাইনটি কলেজ ট্রেন’। নির্ধারিত যাত্রাবিরতির পর রাত ৮টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি বগুড়া রেলস্টেশন অতিক্রম করে। ট্রেনটি গাবতলী রেলস্টেশনে পৌঁছার পর সান্তাহারগামী পদ্মরাগ এক্সপ্রেসের সঙ্গে ক্রসিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত ৮টা ৪০ মিনিটে গাবতলী স্টেশনে যাত্রাবিরতির আগেই ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। রেলওয়ের সিগন্যাল বার্তা পেয়ে পদ্মরাগ এক্সপ্রেস ও করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি গাবতলী ও সুখানপুকুর স্টেশনে আটকে দেওয়া হয়।