আজাদুর রহমান:
৯ কোটি ৭০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভুত অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুদক’র মামলায় বগুড়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শ্রমিকনেতা সামছুদ্দিন শেখ হেলালের জামিন নামঞ্জুর করে জেলাহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই মামলায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী আবে জমজম নাজিরের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরের দিকে এই আসামি দম্পতি বগুড়া স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে স্পেশাল জজ মো. শহিদুল্লাহ শুনানি শেষে হেলালের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাড়িগুলো গণপূর্ত অধিদপ্তরের জিম্মায় নেওয়া হয়।
হেলাল শ্রমিক লীগ ছাড়াও একাধারে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র ছিলেন।
শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় হেলাল ও তার পরিবারের মালিকানায় থাকা চারটি বহুতল বাড়ি জব্দ করেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহরিয়ার। ওই চারটি ভবনের দেয়ালে জব্দ করার নোটিশ সাঁটানো হয়েছে। এসময় সেখানে দুদক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিল।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহরিয়ার জানান, আদালতের নির্দেশে সামছুদ্দিন শেখ হেলাল ও তার পরিবারের নামে থাকা চারটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এখন থেকে গণপূর্ত বিভাগ ওই বাড়িগুলোর ভাড়া আদায় করে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করবে।
এর আগে গত বছরের ১২ নভেম্বর হেলাল ও তাঁর পরিবারের মালিকানায় থাকা ৪টি বাড়ি ও ৯টি গাড়ি জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন বগুড়ার বিশেষ জজ আদালত। গাড়িগুলো বিআরটিসির কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়।
গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৬ কোটি টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে হেলাল ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। হেলাল ছাড়াও তার প্রথম স্ত্রী হেলেনা পারভীন ও ছেলে হোসাইন হাবীবের নামে একটি করে মামলা করা হয়।
দুদকের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, আদালতের নির্দেশ মেনে হেলালের চারটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক থেকে হেলাল ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণীর হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশ পেয়ে তারা ২০২১ সালের ২৫ মে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এরপর তদন্তে দুদকে দাখিল করা বিবরণীর সঙ্গে সম্পদের গরমিল পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়