ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ, হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ঈদের ছুটি দু’দিন বাড়ানোর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরে বলা হয়। এসময় যাত্রী কল্যাণের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ১৪০টি স্পটে নজরদারি বাড়ানো দরকার। দেশের ১০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ২১৮ টি অতিঝুকিপূর্ণ। আর এসব স্পটেই ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা এবার রোজা ৩০টি সম্পন্ন হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। ঈদের আগে ১০ এপ্রিল মাত্র একদিন সরকারি ছুটি রয়েছে। ঈদের পরে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ দিনের লম্বা ছুটি রয়েছে। ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় এবারের ঈদযাত্রায় মুসলমানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে লম্বা ছুটির সুবাধে গ্রামের বাড়ি যাবে। তাই যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। আগামী ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ লাখ হারে মানুষ রাজধানী ছাড়বে। অথচ আমাদের গণপরিবহনগুলোতে ২২ থেকে ২৫ লাখের মতো মানুষ পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের আগে ছুটি না বাড়ালে দেশের সব পথে যাতায়াত পরিস্থিতি কোমায় চলে যেতে পারে। তাই ৮ এবং ৯ এপ্রিল দুই দিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হলে ৫ এপ্রিল থেকে সবাই স্বচ্ছন্দে, ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবে। গণপরিবহন সংকট ও যাত্রী ভোগান্তি থেকেও মুক্তি মিলবে। এই কারণে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি করছি।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ছুটি বাড়ানো হলে যাতায়াতে দুর্ভোগ, যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে।
এবারের ঈদে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ, লঞ্চে ৬০ লাখ, ট্রেনে ৪ লাখ, মোটরসাইকেলে ১২ লাখ, খোলা ট্রাক ও পণ্যবাহী গাড়িতে ১৮ লাখ মানুষ যাতায়াত করবে বলেও জানানো হয়।