ডেস্ক রিপোর্টঃ
দীর্ঘ এক মাস ধরে তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে।
তবে জেলার আট উপজেলায় উপকূলীয় এলাকায় লবণ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটেছে। অনেক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ায় পাকা বোরো ধান ও সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিছু কিছু জায়গায় বাড়ি-ঘর উপড়ে গেছে।
কক্সবাজার শহরের পর্যটন ব্যবসায়ী সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, কয়েক দিনের তীব্র দাবদাহের কারণে পর্যটনশিল্পে ধস নেমেছে। ছুটির দিনেও কক্সবাজারে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক ঘুরতে আসেনি।
শহরের কালুর দোকানের বাসিন্দা তারেকুর রহমান বলেন, টানা দাবদাহের কারণে অসহনীয় গরম পড়েছিল। সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারে গতকাল বুধবার রাত ১২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৭ শতাংশ। আর বৃষ্টি চলাকালীন দুপুর ১২টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, বৃষ্টি আগামীকাল শুক্রবারও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কক্সবাজারে গতকাল বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।