Search
Close this search box.
সর্বশেষ সংবাদ
নতুন উপাচার্য পেল পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় |||| জাবির নতুন উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান |||| বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক হলেন মোহাম্মদ আজম |||| শীর্ষ বাছাই শিয়াওতেকের বিদায়, সেমিফাইনালে সিনার |||| ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে কমল ইলিশের দাম |||| চিকিৎসার জন্য চেয়েছিলেন ছুটি, না পেয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মৃত্যু |||| শহীদদের তালিকায় এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গেছে: নাহিদ ইসলাম |||| দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন বেষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত নাইমুল |||| অনবদ্য সেঞ্চুরিতে র‍্যাংকিংয়ে বড় লাফ লিটনের |||| শতাধিক পোশাক-কারখানায় ছুটি ঘোষণা |||| স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে নারীর মৃত্যু |||| সালমান এফ রহমানমুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক |||| প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাষ্ট্র সফরের বহর হবে ছোট |||| জমি নিয়ে বিরোধে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন |||| জার্মানিতে রাজ্যসভার নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থীদের চমক |||| পররাষ্ট্র সচিব পদ থেকে মাসুদ বিন মোমেনের চু‌ক্তি‌ভি‌ত্তিক নি‌য়োগ বাতিল |||| ১২ অতিরিক্ত সচিবকে বদলি |||| সাকিবের বোলিংয়ের সময় পাকিস্তানি ব্যাটারের ‘টাইমড আউট’ আতঙ্ক |||| মসজিদে যদি পাহারা না লাগে, মন্দিরে কেন প্রয়োজন: জামায়াত আমির |||| আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি ডলার |||| নতুন ডিবিপ্রধান কে এই রেজাউল করিম মল্লিক? |||| ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করলেই কাজে ফিরবেন চিকিৎসকরা |||| সময় বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করলেন চিকিৎসকরা |||| এইচএসসি পাসে চাকরি দিচ্ছে বিকাশ |||| লিটনের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ২৬২ রানে থামলো বাংলাদেশ |||| রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ |||| পুলিশের ১৬ ‍ডিআইজিকে বদলি-পদায়ন |||| সংক্ষিপ্ত সফরে নিউইয়র্ক যাবেন ড. ইউনূস |||| ঘুরে দাঁড়াতে চাই আওয়ামী লীগ |||| যৌক্তিক সময়েই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা |||| শিগগিরই ঢাকায় আনা হবে বিচারপতি মানিককে |||| পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব বিবেচিত হতে পারে: ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র |||| ১০ বছর সময় নিয়ে আত্মজীবনী লিখলেন আবুল হায়াত |||| নাহিদের পর মিরাজের আঘাত, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ |||| এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে সিআইডির অনুসন্ধান শুরু |||| বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নেই শাহিন আফ্রিদি |||| জাতীয় নির্বাচনের টাইম ফ্রেম জানতে চেয়েছে রাশিয়া: আমীর খসরু |||| পঁচা-নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চাই না: সোহেল তাজ |||| প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি নেতারা |||| শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরল সাফজয়ী দল |||| বন্ধ হচ্ছে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ |||| আমাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে: সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ |||| পাকিস্তানে বেড়েই চলেছে হত্যাযজ্ঞ, যা বলছেন প্রধানমন্ত্রী |||| নতুন করে যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন সাখাওয়াত হোসেন |||| প্রধান উপদেষ্টার তহবিলে সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি-লেডিস ক্লাব-চিলড্রেন ক্লাবের অনুদান হস্তান্তর |||| ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের পর ২ মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার |||| অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বন্টন |||| ৩৭ দিন পর যাত্রী নিয়ে ছুটল মেট্রোরেল |||| ফারাক্কার গেট খুলল ভারত, বন্যার শঙ্কায় যেসব জেলা |||| বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৭ লাখ মানুষ |||| হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢামেকে ৩ উপদেষ্টা |||| সিএমএইচে নেওয়া হলো হাসনাত আব্দুল্লাহকে |||| বন্যায় ফ্লাইট মিস করা যাত্রীদের টিকিট বিনামূল্যে রি-ইস্যু করতে এয়ারলাইনসকে নির্দেশ |||| সর্বাত্মক সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে ড. ইউনূসকে শাহবাজ শরীফের চিঠি |||| শতরানের ওপর লিড নিয়ে থামলো বাংলাদেশ |||| সাকিবের ‘পক্ষ নিয়ে’ বিপাকে প্রিন্স মাহমুদ |||| গ্রিন সিগনালের অপেক্ষায় এস কে সিনহা |||| পাকিস্তানে স্কুলভ্যানে বন্দুক হামলায় ২ শিশু নিহত |||| বড় সংগ্রহের পর ইনিংস ঘোষণা পাকিস্তানের |||| বাঁধ খুলে অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে ভারত: তথ্য উপদেষ্টা |||| বাংলাদেশে গণতন্ত্র-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে জাতিসংঘ |||| ত্রিপুরায় বাঁধ খোলার বিষয় নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে: ত্রাণ উপদেষ্টা |||| বিদায়ী ভাষণে কেঁদে ফেললেন বাইডেন |||| বাংলাদেশে হত্যা ও অধিকার লঙ্ঘন: জড়িতদের বিচার চায় জাতিসংঘ |||| সায়েম-শাকিলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো পাকিস্তান |||| সিনেমাকে গুড বাই জানাচ্ছেন আমির খান? |||| গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘অনিশ্চিত’ রেখেই মধ্যপ্রাচ্য ছাড়লেন ব্লিঙ্কেন |||| বন্যায় আখাউড়া স্থলবন্দরসহ পানিবন্দি ১০ গ্রাম |||| গণশুনানি করে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত |||| রাজধানীসহ সারা দেশে দেড় হাজার ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভাঙচুর |||| ২ সপ্তাহ পেছানো হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা |||| ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া ক্যাপ্টেন আশিক পেলেন সেনাগৌরব পদক |||| ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া ক্যাপ্টেন আশিক পেলেন সেনাগৌরব পদক |||| বিআরটিএ’র সব ধরনের সেবা কার্যক্রম পুনরায় শুরু |||| দেশ পুনর্গঠনের পর নির্বাচন: ড. ইউনূস |||| আমাকে ‘স্যার’ বলার দরকার নেই: উপদেষ্টা নাহিদ |||| বগুড়ায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের ১০১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা |||| অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস |||| অস্ট্রেলিয়ায় সেমিফাইনালের পথে বাংলাদেশ |||| দায়িত্ব পেলেন নতুন চার উপদেষ্টা, ৮ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন |||| জোবরার তেভাগা থেকে আজকের প্রধান উপদেষ্টা |||| এস আলম ও তার পরিবারের সব সদস্যের ব্যাংক হিসাব তলব |||| টুকু-পলক-সৈকতকে তোলা হবে আদালতে, রিমান্ড চাইবে পুলিশ |||| বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতার অঙ্গীকার শ্রীলঙ্কার |||| রোববার খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান |||| ধানমণ্ডি ৩২-এ কাদের সিদ্দিকীকে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর |||| রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের খবর ভুয়া: আসিফ নজরুল |||| দেশের সব থানার কার্যক্রম শুরু |||| রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা  |||| শেখ হাসিনার ফাঁসি সহ, চার দফা দাবিতে, বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ |||| ডিবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো হারুনকে |||| আহতদের দেখতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী |||| সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী |||| ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে অবসর, প্রজ্ঞাপন জারি |||| ঢাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে আটক ৪ |||| সিলেটে পুলিশ-শিক্ষার্থী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া |||| কোনোদিন ভাবিনি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে: শেখ হাসিনা |||| ফেসবুক সচল হয়েছে |||| হত্যাকাণ্ডসহ সকল অনভিপ্রেত ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে |||| সান্তাহারে কোটা সংস্কার আন্দোলন; দুই ঘন্টা ট্রেন বন্ধ ||||

‘গণহত্যা’ চালিয়ে এবার সেই রোহিঙ্গাদেরই সাহায্য চাইছে জান্তাবাহিনী

Loading

ডেস্ক রিপোর্টঃ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা রোহিঙ্গাদের ওপর আজ থেকে ৭ বছর আগে ভয়াবহ ‘জাতিগত নিধন’ চালিয়েছে ক্ষমতাসীন জান্তাবাহিনী। সেই জান্তাই এবার বিদ্রোহ দমনে রোহিঙ্গাদের সহায়তা চাইছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রাখাইনের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি জেনেছে, এরই মধ্যে জান্তাবাহিনী অন্তত ১০০ রোহিঙ্গাকে বাহিনীতে ভর্তি করেছে। তাদের একজন মোহাম্মদ (নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকৃত নাম প্রকাশ করা হয়নি।) তিনি জানান, জান্তাবাহিনীকে তিনি সব সময়ই ভয় করেছে। কিন্তু তারপরও যেতে হয়েছে। কারণ, মোহাম্মদ যদি সেনাবাহিনী ভর্তি না হন তবে তাঁর পরিবারের ক্ষতি করা হবে।

মোহাম্মদের মতো আরও শতাধিক তরুণ-যুবাকে জোর করে জান্তাবাহিনীতে ভর্তি করানো হয়েছে ভয়ভীতি দেখিয়ে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আরও একাধিক রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, রাখাইনের রাজধানী সিতওয়ের কাছের যে আশ্রয় শিবিরে তাঁরা থাকেন সেখানে প্রায় প্রতিদিন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা এসে বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য ভয় দেখিয়ে যায়।

চরম পরিহাসের বিষয় হলো—যে রোহিঙ্গাদের জোর করে জান্তাবাহিনীতে ঢোকানো হচ্ছে, মিয়ানমারের সংবিধানে তাঁরা স্থানীয় নৃগোষ্ঠী হিসেবেই বিবেচিত না। তাদের নাগরিকত্বই অস্বীকার করা হয় এখনো দেশটিতে। এমনকি, দেশের ভেতরেও তাদের চলাচল সীমাবদ্ধ, যেতে দেওয়া হয় না দেশের বাইরেও।

রোহিঙ্গাদের ওপর এই নির্যাতন নতুন কোনো ঘটনা নয়। ২০১২ সালে রোহিঙ্গাদের জোর করে বিভিন্ন নোংরা ক্যাম্পে থাকতে বাধ্য করে। পাঁচ বছর পর, ২০১৭ সালে জান্তাবাহিনীর ‘জাতিগত নিধন অভিযানের’ কারণে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সে সময় রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ব্যাপক আকারে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মিয়ানমারে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার কার্যক্রম চলছে।

যে জান্তাবাহিনী একসময় রোহিঙ্গাদের জোর করে নিজ বাসভূমি ছাড়তে বাধ্য করেছে সেই জান্তাই এবার তাদের আবার জোর করে সেনা সদস্য হিসেবে ভর্তি করছে। বিশেষ করে, স্থানীয় নৃগোষ্ঠী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির কাছে ব্যাপক মার খাওয়ার পর এই প্রক্রিয়ার গতি বেড়েছে গেছে।

আরাকান আর্মিসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছে ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণও হারাচ্ছে। একই সঙ্গে হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ সেনাও। হতাহত হওয়ার পাশাপাশি অনেক সেনাই আত্মসমর্পণ করছে অথবা পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এদের বিকল্প কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, কেউই জনবিচ্ছিন্ন ও অজনপ্রিয় জান্তাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মারতে চাইছেন না।

এই অবস্থায় রোহিঙ্গাদের লক্ষ্যবস্তু করার কারণ একটাই, তাদের আরও একদফায় কামানের গোলার মুখে ঠেলে দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। এর প্রমাণ পাওয়া যায় মোহাম্মদের কথা থেকে। তিনি জানান, মাত্র ২ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দিয়েই তাদের রণক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোহাম্মদ বলেন, ‘আমার কোনো ধারণাই নেই যে, আমি কেন যুদ্ধ করছি। কিন্তু তাঁরা আমাকে রাখাইনেরই গ্রামে মানুষের ওপর গুলি চালাতে বলেছে।’

আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে টানা ১১ দিন যুদ্ধের পর মোহাম্মদদের দলে খাবারের সংকট দেখা দেয়। একপর্যায়ে তাদের ঘাঁটিতে আরাকান আর্মির গোলা এসে পড়লে মোহাম্মদের সামনেই অনেকেই নিহত হন। তিনি নিজেও আহত হন। পরে তাঁকে সিতওয়েতে নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মোহাম্মদ আবারও তাঁর পরিবারের কাছে ফিরে যান ক্যাম্পে। তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ফিরে আমি মায়ের কোলে মাথা রেখে অনেক কেঁদেছি।’

মোহাম্মদের মতো আরও অনেকেই জান্তাবাহিনীতে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছেন। তবে বাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল যাও মিন তুন রোহিঙ্গাদের সেনা হিসেবে সম্মুখ সমরে পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। তাই আমরা কেবল তাদের নিজেদের প্রতিরক্ষার কাছে সাহায্য করতে বলেছি।’

কিন্তু বিবিসিকে অন্তত ৭ রোহিঙ্গা জানিয়েছেন যে, তারা অন্তত ১০০ জনকে চেনেন যাদের জান্তাবাহিনী জোর করে ভর্তি করেছে এবং যুদ্ধ করতে পাঠিয়েছে। তাঁরা বলেছেন, জান্তাবাহিনী ও স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা গত ফেব্রুয়ারিতে আশ্রয় ক্যাম্পে এসে ঘোষণা করে যে, অল্পবয়সী রোহিঙ্গা পুরুষদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। এ সময় তাঁরা রোহিঙ্গাদের খাবার, বেতন ও স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিল।

আরাকান আর্মি তীব্র আক্রমণের মুখে রাখাইনের আশ্রয় ক্যাম্পগুলোতে খাবার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক সরবরাহ লাইন ব্যবস্থা ধসে পড়ায় এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এর বাইরে, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লোভ আরও বড় একটি ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার পেছনে। কিন্তু বাস্তবতা হলো—রোহিঙ্গা পুরুষদের সেনাবাহিনীতে ভর্তি করার পর নাগরিকত্ব দেওয়ার স্বপ্ন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

নাগরিকত্ব না দিলেও জান্তাবাহিনী ক্রমান্বয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে অনবরত। তাই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতারা বাধ্য হয়ে তুলনামূলক গরিবদের উদ্বুদ্ধ করছেন সেনাবাহিনীতে ভর্তি হতে। মূলত, তাদের ভয়—তরুণেরা ভর্তি না হলে তাদের বর্তমান যে আশ্রয় সেটাও কেড়ে নেওয়া হবে।

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দিয়ে জান্তাবাহিনীতে ভর্তি করার বিষয়টিকে বেআইনি বলে আখ্যায়িত করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। মানবাধিকার সংগঠন ফর্টিফাই রাইটসের কর্মী ম্যাথু স্মিথ বলেন, ‘এই নিয়োগ বেআইনি ও জোরপূর্বক শ্রমের সঙ্গে তুলনীয়।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের জান্তাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে বর্তমান রেজিম মিয়ানমারে আবারও জাতিগত সহিংসতা উসকে দেওয়ার রাস্তা খুলে দিয়েছে। বিশেষ করে, রাখাইনে যে বৌদ্ধরা আছে তারা দীর্ঘদিন ধরেই জান্তার সমর্থক। ২০১৭ সালে জান্তাবাহিনী যখন রোহিঙ্গা নিধনে নেমেছিল তখন রাখাইন বৌদ্ধরা তাদের সহায়তা করেছে। সেই থেকে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত উত্তেজনা চলমান।

যাই হোক, আরাকান আর্মি রাখাইনে জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জয়ের কাছাকাছি আছে। গোষ্ঠীটি রাখাইন রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। আরাকান আর্মি এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, রাজ্যটিতে যারা দীর্ঘদিন ধরে বাস করছে তাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এমনকি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও তারা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।

কিন্তু জান্তাবাহিনীতে রোহিঙ্গা সদস্য ভর্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র খিয়াং থুখা বিবিসিকে বলেছেন, যারা জান্তাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তারা গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সবচেয়ে ভয়াবহ বিশ্বাসঘাতকতাটি করেছেন।

জান্তাবাহিনীও বিষয়টিকে বেশ জোরেশোরেই প্রচার করছে। তবে স্থানীয় রোহিঙ্গারা বলছেন, জান্তাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বিদ্রোহী হিসেবে তুলে ধরে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে। রোহিঙ্গারা এখন এমন এক সেনাবাহিনীর হয়ে লড়াই করতে বাধ্য হয়েছে, যারা মিয়ানমারে তাদের বসবাসের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় না। যার ফলে রোহিঙ্গারা জাতিগত বিদ্রোহীদের কাছ থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে—যারা শিগগিরই রাখাইনের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করতে যাচ্ছে।

এই বিভাগের অন্য খবর