ডেস্ক রিপোর্টঃ
সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে অস্থায়ী জেটি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই জেটি নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন। তবে আবহাওয়ার জটিল পরিস্থিতির কারণে এখনো সেই জেটির কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদস নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আজ (বুধবার) পর্যন্ত জয়েন্ট লজিস্টিকস ওভার দ্য শোর—এর দুটি অংশের—ভাসমান পিয়ার ও ভূমি থেকে সাগরে যাওয়া বর্ধিত অংশের পিয়ার—সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে এবং তা ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠেছে।’
সাবরিনা সিং আরও বলেন, ‘তীব্র বাতাস ও সমুদ্রের তীব্র জোয়ারের পূর্বাভাস আছে—এর কারণে যা জয়েন্ট লজিস্টিকস ওভার দ্য শোর—এর দুটি অংশকে সরিয়ে যথাস্থানে স্থাপন করার ক্ষেত্রে অনিরাপদ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাই এটির নির্মাণে জড়িত সামরিক জাহাজগুলি এখনও (ইসরায়েলের) আশদুদ বন্দরে অবস্থান করছে।’
এর আগে, মার্চের শুরুতে এই জেটি নির্মাণের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই জেটি বা অস্থায়ী বন্দরের সাহায্যে মানবিক সহায়তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্য—খাদ্য, পানি, ওষুধ ও অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ঘোষণা ও নির্দেশ দেওয়ার পর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু হবে।’
এই বন্দর ও জেটি থেকে যেন শ খানেক ট্রাক একযোগে ত্রাণসহায়তা বহন করতে পারে সেই সক্ষমতা দিয়েই তৈরি করা হবে। তিনি বলেছেন, ‘ভূখণ্ডটিতে আমরা নিরাপত্তার বিষয়গুলোতে ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করব এবং ত্রাণ বিতরণে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা দেওয়া এনজিওগুলোর সঙ্গে কাজ করব।’
তবে গাজার অভ্যন্তরে মার্কিন সৈন্যরা সরাসরি কোনো কাজে অংশ নেবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনগুলো মেটানোর পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়েও কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
হামাস যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি হচ্ছে না ইঙ্গিত দিয়ে মার্কিন এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতি অর্জনের পথ পরিষ্কার। হামাস যদি তাদের হাতে নাজুক অবস্থায় থাকা নারী, বৃদ্ধ, অসুস্থ জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ করত, তবে এতক্ষণে অন্তত ৬ সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি হয়ে যেত।’