গ্রুপ পর্বে জয়ের ধারায় ছেদ পড়তে যাচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। ড্রয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ইউনিয়ন বার্লিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দানি সেবায়োসের ৮৯ মিনিটের গোল ৩-২ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ জায়ান্টদের। তাতে ৬ ম্যাচের ৬টি জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে লস ব্লাঙ্কোস।
স্বাগতিক বার্লিনের শুরুটা ছিল দারুণ। ৫৫ সেকেন্ডেই গোলের দারুণ সুযোগ এসেছিল। কিন্তু কাছ থেকে নেওয়া কেভিন বেহরেন্সের শট একহাতে সেভ করে তাদের হতাশ করেছেন মাদ্রিদ গোলকিপার।
১৬ মিনিটে সুযোগ ছিল রিয়ালেরও। কিন্তু জোসেলুর হেড ক্রসবারে লেগে চলে যায় লক্ষ্যের বাইরে। সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগটি নষ্ট করেছেন লুকা মদরিচ। ৪৫ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও সেটি লক্ষ্যে পাঠাতে পারেননি তিনি। নাটকীয়তায় ভরপুর প্রথমার্ধে তার পর অগ্রগামিতা পায় বার্লিন। স্টপেজ টাইমে ডেভিড আলাবার মিসকিকে সুযোগ পেয়ে জাল কাঁপিয়ে দেন কেভিন ভোল্যান্ড।
ইউরোপা লিগে কোয়ালিফাই করতে হলে এই ম্যাচে জয় প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু বিরতির পর রিয়ালের আক্রমণাত্মক খেলায় চাপে পড়তে হয় তাদের। ৫৫ মিনিটে রদ্রিগো হেড করেছিলেন। সেটি সেভ করে ইউনিয়নকে ম্যাচে রাখেন রোনো। তবে ৬ মিনিট পর জোসেলুর হেডে ঠিকই পরাস্ত হন তিনি। মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ৭৩ মিনিটে আরেকটি হেডে গোল করলে এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু ৮৫ মিনিটে রিয়ালকে হতাশ করে সমতা ফেরান অ্যালেক্স ক্রাল। ম্যাচটা তখন ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ৮৯ মিনিটে সেবায়োসের গোলে নিশ্চিত হয় নাটকীয় এক জয়।
‘সি’ গ্রুপ থেকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে রিয়াল। রানার্স আপ হয়ে যাচ্ছে নাপোলি। তাদের পয়েন্ট ১০।
অপর দিকে শেষ ষোলোর ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখতে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জয় প্রয়োজন ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। পাশাপাশি প্রার্থনায় থাকতে হতো এফসি কোপেনহেগেন ও গ্যালাতাসারের ম্যাচটা যেন শেষ হয় ড্রয়ে। কিন্তু বায়ার্নের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ৩বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ৭০ মিনিটে কিংসলে কোম্যানের করা গোলটাই হয়ে থাকে ভাগ্য নির্ধারক। ‘এ’ গ্রুপ থেকে বিজয়ী হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন। তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। রানার্স আপ হয়েছে কোপেনহেগেন।