আজাদুর রহমান:
বগুড়ায় যমুনার নদীর পানি দ্রুত বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি সকাল ৬ টায় ৫৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ঘন্টায় ২ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাওয়ার খবর জানিয়েছেন।
সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানিতে উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। তবে সারিয়াকান্দিতে যমুনা পয়েন্টের ঝুঁকিপুর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের এলাকাতে সতর্কার জন্য লোক দেয়া হয়েছে। বণ্যা মোকাবিলার সকল রকম প্রস্তুতি আছে এনমটাই জানালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নাজমুল হক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার দেখা গেছে পানি ঘন্টায় ২ সেন্টিমিটারের বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের ধারণা এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে বগুড়ার কাছে যমুনার পানি বৃহস্পতিবার বিপদসীমা স্পর্শ করবে। যমুনা পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৬ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। বুধবার নদীর পানি ১৫ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছিল।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সারিয়াকান্দির চরগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারিয়াকান্দির কর্নিবাড়ি , কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি, চালুয়াবাড়ির চরাঞ্চলের নিচু জায়গা তলিয়ে গেছে।
এ দিকে সারিয়াকান্দির ইছাইমারা গ্রামের ৪০০ মিটার এবং শিমুলতাইড় ৬০০ মিটার ভাঙ্গন এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও টিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লোক দিয়ে পাহারা দেয়া হচ্ছে। হঠাৎ বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে যাতে কোন তাৎক্ষনিক ভাবে বাঁধ নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা নেয়া যায়। বাঁধের আসে পাশের জনগনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি আছে। বণ্যা মোকাবিলায় জরুরী ভিত্তিতে চাহিদা পত্র দেয়া হয় হয়েছে।
জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, অতি জরুরী ভাবে ৫শ’ মেট্রিকটন চাল, ১০ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবারের চাহিদ পত্র দেয়া হয়েছে। আশা করি ২/১ দিনের মধ্যে সেগুলো পৌঁছে যাবে।