আজাদুর রহমান:
বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের সোনাহাটা ওয়েল স্টেশন নামক একটি অনিবন্ধিত অস্থায়ী তেলের পাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে ইফতার তৈরী করতে গিয়ে চুলার আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাম্পের মালিক নিরব শেখ, তার স্ত্রী মিথিলা ও ছোট ভাই সবুজ গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ছোট ভাই সবুজকে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বগুড়ায় স্থানান্তর করা হয়। অন্যদিকে নিরব ও তার স্ত্রীকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়া হলেও তার স্ত্রীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
নিমগাছী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা রিপন জানান, বাঘাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নীরব শেখ ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নে বিয়ে করে। তিনি নিমগাছী ইউনিয়নে তিন বছর আগে জমি ক্রয় করে একটি অস্থায়ী ফিলিং স্টেশন স্থাপন করেন। রবিবার বিকেলে সেখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কোন অনুমোদন না নিয়েই তেলের পাম্প স্থাপন করা হলেও সেখানে পানির ট্যাংকির ভিতর তেল ভরে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করা হতো। কিন্তু অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে তাদের কোন ব্যবস্থা ছিল না।
এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান জানান, এটা একটা দুর্ঘটনা, আমরা ইতিমধ্যে বাজার এলাকায় মাইকিং করে জনসচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আগামীতে কেউ এমন কাজ করলে প্রশাসনকে অবগত করার জন্য জানাতে বলছি।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান জানান, বিকেল ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ সময় সেখানে মজুত প্রায় ৩০ হাজার লিটার ডিজেল, ট্রাক্টর, ট্যাংক লড়ি, তেলের পাম্পের পাশে একটি সিএনজি মেরামতের মেশিনারীজ ষ্টোর পুড়ে যায়। তেলের দোকানের মালিক নীরব হোসেনের বাড়িতে রান্নার কাজ চলা অবস্থায় তার স্ত্রীর ওড়নায় আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে আগুন সহ ওড়নাটি ছুড়ে দিলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ-সহকারী পরিচালক জানান, আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে বগুড়ার ২টি, গাবতলী উপজেলার ১টি ও ধুনট উপজেলার ১টিসহ ফায়ার সার্ভিসের মোট ৪টি ইউনিট কাজ করেছে। পাম্পের মালিক নিরব, তার স্ত্রী ও তার ছোট ভাই সবুজ অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।