আজাদুর রহমান:
বগুড়ার ধুনটে বাঁশ ও কাগজের ছাউনীতে বসবাস করছে রহিদুল মোল্লার পরিবার। সে উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের বড় চাপড়া গ্রামের মৃত মোজাহার মোল্লার ছেলে।
জানা যায়, রহিদুল মোল্লা তার স্ত্রী ২ কন্যা ১ ছেলে নিয়ে প্রায় দেড় শতাংশ জায়গার উপর বসবাস করে আসছিলেন। তার ২ মেয়েকে বিবাহ দেওয়ার পর একটি মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা হওয়ায় বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে। ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় খুব একটা কাজ করতে পারেনা।
রহিদুল মোল্লা কৃষি কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করতো। শারিরিক নানা সমস্যার কারনে কৃষি কাজ ছেড়ে ভ্যান ও সাইকেল মেরামতের কাজ শুরু করে। শারিরিক অসুস্থ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। প্রায় ৩ বছর যাবৎ অসুস্থ্যতার কারনে পরিবার নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে রহিদুল মোল্লা। মাথার উপরে বাঁশ ও কাগজের ছাউনী।
ভেতরে স্যাঁতসেতে মাটি। ঘুমানোর মত নেই কোন চৌকি বা খাট। চিকিৎসা খরচ যোগান দেওয়ার মত অবস্থা তাদের কাছে স্বপ্ন। তার স্ত্রীর অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসারে সবার জন্য আহার যোগায়। কাজ না পেলে সমাজের কাছ থেকে খাবার চেয়ে আসে। তাদের জীবন চলে কখনো অনাহারে কখনো শুকনো মুড়ি ও মরিচে।
ওই এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর আলম জানান, রহিদুল মোল্লার পরিবার দির্ঘদিন ধরে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। তাকে বিভিন্ন সময় নানা ভাবে সহযোগিতা করেছি। বর্তমানেও করে যাচ্ছি। গ্রামের সাধারন মানুষদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে তার মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি ঘর ও আর্থিক কিছু সহযোগিতা পেলে সে উপকৃত হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান জাকির জুয়েল জানান, তার বিষয়ে অবগত হয়েছি। কোন দুস্থ্য সহায়তা বা কোন প্রকল্প এলে প্রথমে তাকেই সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। এবং সরকারি ভাবে তাকে সব রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে এই পরিবারটির পাশে থাকবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জানান, আমরা সরকারিভাবে তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।