অগ্নিকাণ্ডে তিনটি গরু ও দুটি ভেড়াসহ একটি গোয়ালঘর, দুটি বসতঘর এবং দুটি রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া নয়টি গরু ও চারটি ভেড়া দগ্ধ হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালী সদর উপজেলায় বসতঘরে আগুন লাগার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যক্তি নিহত ও একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চর উড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মাইজদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা কবির হোসেন।
নিহত নুর ইসলাম (৬০) পশ্চিম চর উড়িয়া গ্রামের প্রয়াত হাবিব উল্লার ছেলে।
দগ্ধরা হলেন- নিহতের ছেলে মো. সেলিম (৩৭), সেলিমের স্ত্রী মায়া বেগম (৩০) এবং নুর ইসলামের মেয়ের শাশুড়ি শেফালি বেগম (৫২)।
তাদের ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে তিনটি গরু, দুটি ভেড়া, গোয়ালঘর, দুটি বসতঘর ও দুটি রান্নাঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া নয়টি গরু ও চারটি ভেড়া দগ্ধ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেহরি খেয়ে নুরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঘরে আগুন লাগে। আগুনের তাপে ঘুম ভাঙার পর সবাই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন।
নুর ইসলামের ছেলে দগ্ধ সেলিমের দাবি, আগুন লাগার পর স্থানীয়রা বিদ্যুৎ এবং ফায়ার সার্ভিস অফিসে বার বার ফোন দিলেও তাৎক্ষণিক সাড়া পাননি। এক পর্যায়ে বাবা নুর ইসলাম বিদ্যুতের মিটার থেকে তার টেনে সংযোগ বিচ্ছিন্নের চেষ্টা করেন। তখন স্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান। এছাড়া আগুনে দগ্ধ হন সেলিম, তার স্ত্রী এবং বোনের শাশুড়ি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে তারা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। ততক্ষণে বাড়ির দুটি বসতঘর, দুটি রান্নাঘর ও একটি গোয়ালঘর পুড়ে যায়।
সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।