ডেস্ক রিপোর্টঃ
ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে পৌঁছেছে প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ। ওপেন আর্মস নামক জাহাজটি ২০০ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গতকাল শুক্রবার জাহাজটি পৌঁছায়।
গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে আসা প্রথম জাহাজটি উপকূলের কাছে ত্রাণ সরবরাহ শুরু করেছে। তিনদিন আগে গ্রিক শাসিত সাইপ্রাস থেকে যাত্রা করেছিল এ নৌযান। জাতিসংঘ বলছে, দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে গাজাবাসী পেল এই ত্রাণ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার সাগরপথে ২০০ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর ছেড়ে গাজার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেছিল। গাজার অধিবাসীরা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে জাতিসংঘের এমন সতর্ক বাণীর পর সম্প্রতি সেখানে সমুদ্রে পথে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এটি গাজায় যাওয়া প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ।
দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এসব ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরবরাহ করেছে চাল, আটা, লেবু, শাকসবজিসহ অন্যান্য খাবার।
গাজায় কোনো বন্দর নেই। এজন্য অস্থায়ীভাবে ডব্লিউসিকে দল একটি জেটি বানিয়েছে। যার মাধ্যমে জাহাজ থেকে খাদ্য নামানো হচ্ছে। এমন একটি ভিডিও দেখা যায়।
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বার্জ থেকে ক্রেনে করে খাদ্যবাহী ক্রেটগুলো টেনে লরিতে তোলা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী, তারা মনে করছেন নতুন সামুদ্রিক পথ চালু হলে গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের সংকট কিছুটা কমতে পারে।
হামাস বলেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে, তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এটিকে অবাস্তব বলেছেন। এরমধ্যেই উপত্যকাটিতে অভিযানের পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে গিয়ে হামাস যোদ্ধারা হামলা চালালে যুদ্ধের সূচনা হয়। ওই সময় ১২শ মানুষ নিহত হওয়া ছাড়াও ২৫৩ ইসরায়েলি হামাসের হাতে জিম্মি হয়।
জবাবে ইসরায়েলের অভিযানে এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।