নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ায় কলেজ ছাত্র আজহারুল ইসলাম শান্ত (২৪) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের মামলার এক আসামি রাতুল (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের চেলোপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে মারধরের প্রতিশোধ নিতে শান্তকে এলোপাথাড়ি ভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাব্দে আসামি স্বীকার করেছে। নিহত শান্ত সৈয়দ আহমেদ কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গ্রেফতারকৃত রাতুল সদরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়ার আঃ হান্নানের ছেলে। শুক্রবার (৮ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে বগুড়া র্যাব-১২ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
শনিবার (২ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শহরের চকফরিদ কলোনী এলাকায় অগ্রনী ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় হত্যাকান্ডের শিকার হন একাধিক মামলার আসামি শান্ত। নিহত শান্ত সারিয়াকান্দি উপজেলার কুপতারা সাহাপাড়া এলাকার আবুল হোসেন আলীর ছেলে।
তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে শহরের ফুলদিঘী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। এছাড়াও সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে ডিগ্রীতে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টারনেটের ব্যবসা করতো।
র্যাবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শান্ত নামের ওই যুবক হত্যার পর নিহতের মা রাবেয়া খাতুন ১১জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৯/১০ জনকে আসামী করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর র্যাবের চৌকস টিম আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়।
সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় মামলার এক আসামি চেলোপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। তখন সেখানে র্যাবের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে আসামি রাতুলকে আটক করে।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রাতুল শান্ত নামের ওই যুবককে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে মারধরের প্রতিশোধ নিতেই শান্তকে হত্যা করা হয় বলে জানায় আসামি।
আসামির বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, গ্রেপ্তার রাতুল নামে ওই আসামিরা তিন ভাই। রাতুলের অপর দুই ভাইয়ের সাথে নিহত শান্ত নামে যুবকের পূর্ব শত্রুতা ছিলো। এরই জের ধরে আসামির ভাই ও মামকে শান্ত’র লোকজন ছুরিকাঘাত করে।
একপর্যায়ে এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আসামি রাতুল, তার ভাই ও অন্যান্য সহযোগিরা মিলে শান্তকে হত্যা করে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আসামিকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।