আজাদুর রহমান:
বিশাল এলাকাজুড়ে বসেছে হাট। সকাল থেকেই সেখানে গরু নিয়ে আসা শুরু করেন খামারিরা। দুপুর হতেই ক্রেতা-বিক্রেতা আর ব্যাপারীদের হাঁকডাকে সরগরম হাট। হাটে মাঝারি ও বড় গরুর রেকর্ড সরবরাহ।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম পশুরহাট সদরের কালিতলা ও শাজাহানপুর উপজেলার বনানী গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। হাটের ক্রেতা–বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ বেশি হওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় এবার মাঝারি গরুর দাম গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার এবং বড় গরুর দাম ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কম। কমদামে গরু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। তবে বাজার মন্দায় মন খারাপ বিক্রেতা ও খামারিদের। খামারিরা বলছেন, গরু লালনপালনের খরচ বাড়লেও এবার দাম কমেছে। এতে খরচ উঠছে না।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু বিক্রির জন্য হাটে ওঠে। হাট ঘুরে দেখা যায়, দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা দামের বড় গরুর ক্রেতা ছিল কম। সেই তুলনায় ৭০ হাজার থেকে সোয়া লাখ টাকার মধ্যের মাঝারি আকারের গরুর ক্রেতা ছিল বেশি। দাম কম হওয়ায় অনেক খামারি অবিক্রিত গরু হাট থেকে ফেরত নিয়ে গেছেন।
কালিতলা হাটে খামারের একটি গরু ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা গ্রামের এক খামারি। তিনি বলেন, গত বছর এই আকারের গরু বিক্রি হয়েছে পৌনে দুই লাখ টাকায়। গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার টাকা কম পেয়েছেন।
গরুর বাজার মন্দায় বিক্রেতাদের মন খারাপ হলেও খুশি ক্রেতারা। ক্রেতা আবদুল মান্নান হাটে ৭৭ হাজার টাকায় একটি ষাঁড় কিনতে পেরে খুশি। তিনি বলেন, গত বছর এ আকারের গরু কিনতে হয়েছে ৯০ হাজার টাকায়। গত বছরের তুলনায় দাম কম। একই কথা জানান আরো বেশ কয়েকজন ক্রেতা।
বগুড়ার আরেক খামারি বলেন, গত বছরের তুলনায় ১০০ থেকে ৩০০ কেজি ওজনের ষাঁড়ের দাম গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কম। এ ছাড়া ৩০০ থেকে ৮০০ কেজি ওজনের গরুর দাম গত বছরের তুলনায় গড়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা কম। গত বছর খামারের বড় গরুর চাহিদা ছিল বেশি। এবার বড় গরুর চাহিদা কম, মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।