আজাদুর রহমান:
বগুড়ায় জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট। এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় ও পাকিস্তানি শাড়ি। দাম একটু বেশি হলেও মন কাড়ছে সবার। পছন্দের তালিকায় রয়েছে কাঞ্জুবরণ, ফুয়াংফু, পাইনি সিল, হুসকি, তৃষ্ণা, জর্দান কাতান, চেন্নাই সিল ও অরগাঞ্জা শাড়ি। দেশি কাপড়ের মধ্যে জয়পুরী, কমল, প্যাটেলস ছাড়াও ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি, ডিজাইনের জমজম, বিন হামিদ, লাকজেরি, বিপুল, চিনন, ভিভেক থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট সবই মিলছে বগুড়ার শপিংমলগুলোতে।
মঙ্গলবার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে রমজানের শুরুতে ঢিলেভাব থাকলেও এখন ভিড় বেড়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিপণীবিতানগুলোতে বেচাকেনা। শিশু-নারী-পুরুষসহ সব বয়সীর ক্রেতা ভিড় করছে বিভিন্ন শপিংমলে। তবে শহরের অধিকাংশ শপিংমলে পুরুষের তুলনায় বেশীরভাগ ক্রেতাই নারী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বগুড়ায় এবার হাজার কোটি টাকা বেচাকেনা হবে। শহরের জলেশ্বরীতলায় বিভিন্ন শপিংমল, নিউমার্কেট, আলতাফ আলী মার্কেট, রানার প্লাজা, হকার্স মার্কেট ও পুলিশ প্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেটে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশি কাপড়ের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের হরেক নামে বিক্রি হচ্ছে বাহারি পোশাক। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে থ্রি-পিসের দোকানে। এ ছাড়াও রানার প্লাজা, নবনির্মিত পুলিশ প্লাজা, শহরের জলেশ্বরীতলার বিপণীবিতানগুলোতে ব্যস্ততা অনেক বেশি।
ক্রেতারা জানান, এবার দাম একটু বেশি। বগুড়া নিউমার্কেট ঘুরে দেখা যায়, বাহারি সব পছন্দের শাড়ি খুঁজছেন বিভিন্ন বয়সের নারীরা। তারা জানান, ঈদ উপলক্ষে শাড়ি কিনতে মার্কেটে এসে শাড়ির ডিজাইনগুলো খুব ভালো লাগছে। তবে এবার দাম একটু বেশি। মেয়েদের পোশাকের দোকানে ভিড় অনেক বেশি। কেউ স্বপরিবারে, কেউবা মায়ের সঙ্গে, কেউ ভাইয়ের সঙ্গে আবার কেউ ঈদ মার্কেটে এসেছেন বাবার সঙ্গে।
বগুড়া নিউমার্কেটের মজিদ বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী আলী আজম জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও বেশ ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন কেনাকাটা করতে। এবার ঈদে নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে তানাবানা শাড়ি। দামও সাধ্যের মধ্যে। তানাবানা শাড়ি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।