আজাদুর রহমান:
বগুড়ায় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসায় আবদুল হাকিম নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের নারুলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই চিকিৎসক পলাতক রয়েছেন। পরে ওই দিন রাতেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শিশুটির বাবা মামলা করেছেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ বছর বয়সি আবদুল হাকিম সারিয়াকান্দি উপজেলার দেবডাঙ্গা এলাকার কৃষক আবদুল হামিদ আকন্দের ছেলে। অভিযুক্ত জ্যোতি ফার্মেসির পল্লী চিকিৎসক নারুলী এলাকার জহুরুল হক। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদী নিহতের বাবা আবদুল হামিদ আকন্দ বলেন, গত সাত মাস আগে আমার ছেলে আবদুল হাকিম পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায় এবং মাথা ফুলে যায়। চিকিৎসার জন্য আমরা জ্যোতি ফার্মেসির পল্লী চিকিৎসক জহুরুল হকের কাছে নিয়ে আসি। তিনি তখন মাথা দেখে কিছু ওষুধ দিয়ে কয়েক মাস পর আসতে বলেন। পরে চিকিৎসার জন্য ছেলেকে নিয়ে শনিবার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে আবারও জ্যোতি ফার্মেসিতে যাই। ছেলের মাথা দেখে ফোলা স্থানে অপারেশন করাতে হবে বলে জানান জহুরুল হক। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমার ছেলের মাথায় অবশকরণের জন্য তিনটি ইনজেকশন পর পর পুশ করেন তিনি। এরপরেই আমার ছেলের নাক ও মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে। তখন জহুরুল হক আমার ছেলেকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। পরে আমরা মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশকে জানালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে রাতে সদর থানায় হত্যা মামলা করেছি। আমরা এখন হাসপাতালেই আছি। ময়নাতদন্ত শেষ হলে ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়িতে যাব।
ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, অভিযুক্ত জহুরুল হক পল্লী চিকিৎসক। তিনি পল্লী চিকিৎসক হয়ে অপারেশন করার কথা বলে শিশু আবদুল হাকিমের মাথায় অবশকরণের জন্য তিনটি ইনজেকশন পুশ করেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি জহুরুল হক পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।