আজাদুর রহমান:
অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বগুড়ার জনজীবন। গেল বেশ কয়েকদিন থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বগুড়া জেলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি। গত বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ডিগ্রি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।
তিনি জানান, বগুড়ায় শুক্রবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা বগুড়ার ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে ১৯৮৯ সালে ২১ শে এপ্রিল বগুড়ায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। এই তীব্র তাপদাহ চলমান থাকবে। এজন্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুব কম।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, ১৯৮৯ সালের পর বগুড়ায় শুক্রবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে। ৩৫ বছর আগে ১৯৮৯ সালে ২১ এপ্রিল জেলায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল।
এদিকে, তীব্র গরম ও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীববৈচিত্রের ওপর। তাপদাহে খেটে খাওয়া মানুষদের কষ্টও বেড়েছে। একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়েও তৃষ্ণা মেটাতে পারছে না মানুষ। তবে জরুরী কাজ না থাকলে সহজে কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।
এই সুযোগে শহরের বিভিন্ন সড়কে বসেছে ঠান্ডা পানির দোকান। ব্যাবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ স্যাকারিন আর তার সাথে বগুড়া ফতেহ আলী বাজারের মাছের বরফ। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। দক্ষিণ এলাকার মংলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সহ সামুদ্রিক মাছ আসে বগুড়া সহ উত্তরবঙ্গে। আর সেই মাছ তাজা রাখতে ব্যাবহার করা হয় হিমায়িত বরফ।
এক ব্যাবসায়ী জানান, বরফ প্রতি পাটা ২৫ কেজি ১৪০ টাকা যা থেকে ১ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বরফের পানি আর স্যাকারিন মিশিয়ে একটু লেবুর রস মিশিয়ে দিলেই মানুষ পান করে।
এই স্যাকারিন ও অপরিস্কার পানি থেকে তৈরি করা বরফ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ ক্ষতিকর জেনেই সেটা আগে খায়। স্যাকারিন না দিলে খায়না।
চিকিৎসকরা বলছেন, যেহেতু মানবদেহে বিশুদ্ধ পানির গুরুত্বপূর্ণ একটি অবদান আছে। সেহেতু গরমে যদি অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা হয় অথবা রাসায়নিক কোন পদার্থ অথবা দূষিত পানি পান করা হয় সে ক্ষেত্রে পাকস্থলীর সমস্যা জনিত অসুবিধা হতে পারে অথবা রাসায়নিক কোন ক্ষতিকর পদার্থ সেবনের মাধ্যমে কিডনিতে ব্যাপক ধরনের ক্ষতি সাধন হতে পারে।