আজাদুর রহমান:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় শারীরিক প্রতিবন্ধী (১৩) এক কিশোরীকে ধর্ষণ করায় প্রায় ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা হওয়ায় বাদশা ইউসুফ আলী (১৫) নামের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। বাদশা ইউসুফ আলী চকপোতা বাগড়া হঠাৎ পাড়া গ্রামের মহরম আলীর ছেলে ও বাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে গত বছরের ২৯ অক্টোবর বাদশা ইউসুফ আলী বরই ও বিভিন্ন খাবার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চকপোতা বাগড়া হঠাৎ পাড়া তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। গত ৭ মে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর পরিবার স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করলে গর্ভবতীর ২৪ সপ্তাহ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। পরে শেরপুর থানায় কিশোরীর বাবা লেবু বাদি হয়ে ১০ মে শুক্রবার রাতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় রাতেই বাদশা ইউসুফ আলীকে আটক করে পুলিশ।
অভিযুক্ত বাদশা ইউসুফ আলীর মা আনিছা খাতুন বলেন, আমার বিশ্বাস আমার ছেলে ধর্ষণ করেনি। তার দুলাভাই এই কাজ করেছে। তারপরও আমি তাদের বলেছি ডিএনএ টেস্ট (পরীক্ষা) করার পর যদি আমার ছেলে অপরাধী হয়, তাহলে মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে পারিবারিকভাবে মেনে নেব। কিন্তু সেইটা না করে আমার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিল। এতে আমার আরোও বেশি বিশ্বাস আমার ছেলে ধর্ষণ করেনি, অন্য কোন ছেলের দ্বারা ওই কিশোরী অন্তসত্ত্বা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, ইউসুফ আলীকে শনিবার দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।