আজাদুর রহমান:
বগুড়ার শেরপুর মহাসড়কের পাশে লিমন এন্টারপ্রাইজ নামে অনুমোদনহীন এক জ্বালানি তেলের দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। পাশাপাশি ওই ভবনের দোতলায় ও তিনতলা থাকা সোস্যাল ইসলামি ব্যাংকের একটি উপ-শাখাও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধুনট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বগুড়ার সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভবনটির নিচতলার জ্বালানি তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে দ্রুত তা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর পানি ফুরিয়ে গেলে প্রায় আধাঘণ্টা আগুন নেভানোর কাজ বন্ধ ছিল। আর এ সময়ের মধ্যে আগুন আরও ভয়াবহ রুপ ধারণ করে। থেমে থেমে গ্যাস সিলিন্ডারগুলোর বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। আগুনে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, গ্যাস সিলিন্ডার ও টায়ারসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল পুড়ে যায়। পরে পাশের এক জলাশয় থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী বলেন, তিন মাস আগে আগুনে ভষ্মীভূত এই প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মহাসড়কের পাশ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠান মালিক সরে যাওয়ার জন্য কিছু সময় প্রার্থনা করেছিলেন। এ ঘটনায় লিমন এন্টারপ্রাইজের মালিক জিন্নাহ এবং ভবন মালিক দুলাল রহমানকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মহাসড়কের ধারে গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বগুড়ার সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত যায় ফায়ার সার্ভিস। শেরপুর ছাড়াও পার্শ্ববতী বগুড়া, শাজাহানপুর, ধুনট ও চান্দাইকোনা ফায়ার স্টেশনের আটটি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে আগুনে জ্বালানি তেলের পুরো দোকান পুড়ে গেছে। তবে ব্যাংকের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ সময় এক দমকল কর্মী আহত হয়েছেন। আগুন লাগার সঠিক কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
ভয়াবহ এই আগুনে মহাসড়কের পাশে থাকা এগারো কেভি বৈদ্যুতিক সংযোগের তার পুড়ে গিয়ে আশপাশের এলাকায় বিদুৎ সরবারহ বন্ধ আছে। বিদুৎ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।