আজাদুর রহমান:
বগুড়া সোনাতলায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আগুনিয়া তাইড় এলাকায়। এ বিষয়ে স্থানীয় আবুল আজাদ নামের এক ব্যক্তি বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবন রাজশাহীর প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত থাকা অবস্থায় এস.এস.এইচ পদে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত ছিলেন ছারোয়ার জাহান নামের এক ব্যক্তি। চাকুরী করা অবস্থায় ১৯৮৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করলে তার স্ত্রী হাছিনা বানু গত ১৯৭৫ সালের ১৪ ই এপ্রিল
রেলওয়ে হতে ১৫০ শতক সম্পত্তি লীজ হিসাবে গ্রহণ করে তাতে বিভিন্ন ফলজ গাছ লাগায় এবং বিভিন্ন ফসলাদি ফলাইয়া ভোগ দখল করেছিলেন।
এ অবস্থায় পুণঃরায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয় বাংলাদেশ রেলওয়ে, লালমনিরহাট ২০২০ সালের ২ রা সেপ্টেম্বর জলাশয়ের অস্থায়ী লাইসেন্স প্রদানের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তখন হাসিনা বানুর ছেলে ওয়ারিশ হিসাবে দরপত্র সিডিউল দাখিল করলেও
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বায়জিদ নগর এলাকার মৃত আমিনুল হক আকন্দের ছেলে হুমায়ন করিব সুমন ও বগারভিটা এলাকার মৃত ফকুর উদ্দিনের ছেলে তফসিলকৃত মৌজা- আগুনিয়াতাইড়, জে.এল নং- ১৯, খতিয়ান নং- সি.এস ৪৪৫, দাগ নং- সি.এস- ৮৮৭/অংশ, প্লট নং- ১৭ এর ১৫০ কাতে ৩৫ শতক এবং প্লট নং- ১৮ এর ১৫০ কাতে ৩৫ শতক এবং ১৫০ কাতে ৮০ শতক। (৩৫ শতক ৩৫ শতক) একুনে ৭০ শতক সম্পত্তি যোগসাজশে লীজ হিসাবে গ্রহণ করে সর্ব সাকুল্য ১৫০ শতক সম্পত্তি অন্যায়ভাবে দখল করে এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজনকে ভাড়া করে।
পরবর্তীতে হাসিনা বানুর রোপনকৃত ১টি আমগাছ, ১টি কাঁঠাল গাছ, ১টি লিচু গাছ, ১টি আতাফল গাছ, ১টি কদম গাছ, ১টি লাটুর গাছ ও ২৫-৩০ টি ফলজ সুপারি গাছসহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলে। এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্পত্তি হতে অন্যায়ভাবে ২ ফিট পরিমান গভীর করে মাটি খনন ও উক্ত মাটি অন্যত্র বিক্রী করছে যাহা লীজ গ্রহণের শর্তের খেলাপ।
এ ঘটনায় হাসিনা বানুর প্রতিনিধি উপজেলার আগুনিয়া তাইড় এলাকার মৃত চিতা কাশেম এর ছেলে মোঃ আবুল আজাদ বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবন রাজশাহীর প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।