আজাদুর রহমান:
বগুড়ার শেরপুরের বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ লাইসেন্সবিহীন ফিলিং স্টেশন ও সিএনজি পাম্পে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দন্ড দিয়েছেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
শনিবার (১৬ মার্চ) আনুমানিক বেলা ১১ টা থেকে ১টা পর্যন্ত বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন “ফাহিম সিএনজি পাম্প ও ফারজানা ফিলিং স্টেশনে” উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুমন জিহাদীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। তিন’বছরেরও অধিক সময় ধরে কোন রকম নিয়ম নীতির ও তোয়াক্কা না করে ফাহিম ফিলিং স্টেশন লাইসেন্স বিহীন ভাবে ট্রাকের কেবিনে সিরিজ সিএনজি ট্যাংক স্থাপন করে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।
অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে অভিযুক্তদের আটক করেন। অতঃপর এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান। অপরদিকে উপজেলার রানীরহাট এলাকায় লাইসেন্সবিহীন ভাবে ঝুকিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল ফারজানা ফিলিং স্টেশন।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রেজাউল করিম ফিলিং স্টেশনের অফিস রুমে গিয়ে দেখেন একই রুমে জেনারেটর, দশটি সিএনজি সিলিন্ডার, পুরো অফিসের সকল বৈদ্যুতিক তারের হাব ও চেঞ্জ ওভার।
এ সময় ফায়ার সেফটি মেজার সহ বিষ্ফোরক অধিদপ্তর বা এনার্জি রেগুলেটিং অথোরিটি বা পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন সহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কাগজই তারা উপস্থাপন করতে পারে নি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন জিহাদী ফাহিম সিএনজি পাম্পকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে এবং লাইসেন্স পাওয়ার আগ পর্যন্ত জনস্বার্থে কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। ফারজানা ফিলিং স্টেশনকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও এক মাসের সময় বেধে দেয় লাইসেন্স আবেদন করার জন্য।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমন জিহাদী বলেন, বেইলি রোডের ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা আর যেন না ঘটে সে উদ্দেশ্যে সবাই মিলে এক সাথে কাজ করতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন সাংবাদিকদের কারণেই ঝুকিপূর্ণভাবে পরিচালিত এ সকল পাম্পের খবর আমরা পাই ও ব্যবস্থা নিতে পারি।