আজাদুর রহমান:
বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মুনির হোসেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কর্মকর্তা জানান, জেলার ধুনট থানাধীন লাংলু গ্রামের মোঃ ছয়ফল প্রাং (৬৪), পিতা- মৃত শরিফুল্যাহ বগুড়া ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার ছেলে গোলাম রব্বানী আসামীদের নিকট হইতে টাকা পেত। নিহত গোলাম রব্বানী একজন মুরগীর খামারী। পাওনা টাকা চাইতে গেলে পাওনা টাকা না দিয়ে আসামীগণ নিহতকে ভয়ভীতি দেখিয়ে উপরন্ত তার কাছে থাকা টাকাগুলো হাতিয়ে নেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত তাদের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা করেন, যার নং ১২৮সি/২০২৩। এরই জেরে ৫ ফেব্রুয়ারি নিহত গাবতলী থানার বাগবাড়ী বাজার হইতে মুরগী ক্রেতাদের নিকট হতে পাওনা টাকা আদায় করে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ী ফেরার পথে রাত ৮ টায় ধুনট থানার লাংলু গ্রামের মধ্যে কাচা রাস্তার উপর পৌছিলে আসামীগণ পথরোধ করে তাকে রামদা, হকিস্টিক, রড দ্বারা আঘাত করে ঘটনাস্থলে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধুনট থানায় এজাহারনামীয় ১৩ জন ও অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামী করে মামলা নং-৭ ধারা-১৪৩/৩৪১/৩০২/৩৪/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০ দায়ের হয়। এ ধরনের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডটি বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোড়ন তৈরি করে।
খুনের ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ মার্চ র্যাব-১২, বগুড়া ও র্যাব-১১, নরসিংদী এর যৌথ অভিযানে নরসিংদী সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রিয়াদ (২৩), পিতা- মৃত মোত্তেজার রহমান, সাং- লাংলু, থানা- ধুনট, জেলা- বগুড়া’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া জেলার ধুনট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।