বগুড়ায় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে চোর সন্দেহে আটক দুই ব্যক্তি হাতকড়াসহ পালানোর ঘটনায় এক কর্মকর্তা ও ৩ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার রাতে তাদের সদর থানার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আজ সোমবার সদর থানা পুলিশের ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চারজন হলেন- উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল রানা, কনস্টেবল মাহবুব আলম, একরামুল হক ও মানিক রতন।
জানা যায়, গত শনিবার ভোরে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল রানা, কনস্টেবল একরামুল হক ও মানিক রতন নিশিন্দারা জাতীয় পরিসেবা ‘৯৯৯: এ খবর পেয়ে এলজিইডি অফিসের সামনে যায়। সেখানে স্থানীয়দের হাতে চোর সন্দেহে আটক মোহাম্মদ আলী (২৮) ও মিঠু মিয়া ওরফে ফারুক (২২) নামের দুইজনকে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। আটক দুইজনকে হাতকড়া লাগিয়ে দায়িত্বরত কনস্টেবল মাহবুব আলমের হেফাজতে রাখা হয়। ওইদিন শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতকড়াসহ আটক দুই আসামি পালিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গতকাল রোববার রাতে মোহাম্মদ আলীকে আদমদিঘী থেকে হাতকড়াসহ পুলিশ পুনরায় গ্রেপ্তার করে। পলাতক অপর আসামি মিঠু মিয়াকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ঘটনায় উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহমুদুর রশিদ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।