আজাদুর রহমান:
বগুড়ার শেরপুরে পুুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় জেলের জালে উঠে এসেছে চারশ গ্রাম ওজনের একটি সোনার মূর্তি। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। শুক্রবার বিকেলে মূর্তিটি উদ্ধার করেছে শেরপুর থানা পুুলিশ। এলাকাবাসি ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুন বুধবার সকালে মির্জাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াবালা গ্রামের জেলে সুধন, অরজুন, অমল, সুদেব আম্বইল গ্রামের আন্দারকোঠা পুকুরের মাছ চাষি ফকর উদ্দিন আহম্মেদ লিটনের পুকুরে মাছ ধরতে যায়। সেখানে মাছ ধরার জন্য জেলেরা ওই পুকুরে জাল দিয়ে টান দেন।
এ সময় তাদের জালের মধ্যে মাছের সঙ্গে স্বর্ণের মূতিটিও উঠে আসে। তখন তরা মূর্তিটি দেখে নিশ্চিত হয় মূর্তিটি স্বর্ণের। তখন তারা মূর্তিটি গোপনে শ্রীমন্তের নিকট গচ্ছিত রাখে বাড়িতে গিয়ে সবাই মিলে ভাগ নেওয়ার জন্য। পরের দিন মূর্তিটি সুধন, অরজুন, অমল, সুদেব চাইলে শ্রীমন্ত অস্বীকার করে জানায় সেটি হারিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শালিশ বৈঠক বসে। সেখানেও শ্রীমন্ত অস্বীকার করলে পরবর্তিতে এলাকায় মূর্তি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হলে বিষয়টি পুলিশ জানায়। খবর পেয়ে ২১ জুন শুক্রবার বিকেলে পুলিশ মির্জাপুর এলাকা থেকে স্বর্ণের মূর্তিটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে অরজুন, অমল জানান এই মূর্তিটি স্বর্ণের হওয়ায় শ্রীমন্ত আমাদের ভাগ দিতে চাইনি। এ কারণে শ্রীমন্ত হারিয়ে যাওয়ার কথা বলে।
পরে স্থানীয় ভাবে শালিশ হলে পুলিশ খবর পেয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে মির্জাপুর এসে লিটন শ্রীমন গনেশ অর্জুন মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এসে হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে শেরপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, ধারনা করা যাচ্ছে এটি স্বর্ণের নয়। তবুও মুর্তিটি পরীক্ষা করার জন্য বগুড়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।