নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০২২ সালে এনআর-ইভোনিক কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি খোলেন ব্যবসায়ী মো. রেজাউল করিম এবং সোহেল শেখ। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে রেজাউল এবং সোহেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। চেয়ারম্যান রেজাউলের অভিযোগ, ব্যবসার শুরুতে যৌথভাবে বিনিয়োগের কথা থাকলেও সকল বিনিয়োগ করেন তিনি নিজেই। সমান বিনিয়োগের কথা থাকলেও মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বিনা টাকায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন সোহেল। বিনিয়োগ না করেও কোম্পানির সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছিলেন তিনি। বিনিয়োগের টাকা পরিশোধ করবেন বলে তিনি শুধু সময় ক্ষেপণ করছিলেন। একসময় কোম্পানি লস করতে শুরু করলে বিনিয়োগের টাকা ফেরত চান রেজাউল। তখন টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্নরকম হুমকি দেওয়া শুরু করেন সোহেল। এমনকি রেজাউলের কেনা গাড়িটিও নিজের বলে হাতিয়ে নিতে চান তিনি।
রেজাউল করিম জানান, রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় এনআর-ইভোনিক কোম্পানি লিমিটেডের অফিস নিয়ে সাপ্লাইয়ের ব্যবসা শুরু করা হয়। কোম্পানির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। কিন্তু বারবার বিনিয়োগ করার কথা বললেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সোহেল সেটি করছিলেন না। বরং তিনি ব্যক্তিগতকাজে কোম্পানি থেকে টাকা গ্রহণ করেছেন এবং কোম্পানির সকল সুযোগ সুবিধা নিচ্ছিলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, একসময় কোম্পানি লসের মুখে পড়ে যায় শুধু বিনিয়োগের অভাবে। তখন বিনিয়োগের যে অর্ধেক ৪০ লাখ টাকা সেটি আমি ফেরত চাই। তিনি আজ দেবেন কাল দেবেন শুধু তারিখ দিচ্ছিলেন। এমনকি গত বছর ডিসেম্বরে তার স্ত্রী অসুস্থ হলে আমি আমার ব্যক্তিগত মাইক্রোবাস তাকে ব্যবহার করতে বলি। এরপর সে বিভিন্ন সময়য় আমাকে হুমকি দেওয়া শুরু করলে আমি গত ১ এপ্রিল গাড়িটি নিয়ে আসি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মালিবাগের অফিসে এসে বিভিন্ন ভয়ভীতি এবং হুমকি দেয়। আমাকে নাকি যেকোনো সময়য় পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। আমি থাকতে পারবো না। এরপর একদিন এসে আমার অফিসের ফাইলপত্র, গচ্ছিত টাকা নিয়ে অন্য আরেকটি তালা ঝুলিয়ে চলে যায়।তখন আমি নিরাপত্তার জন্য গত ৩ এপ্রিল শাহজানপুর থানায় জিডি করি।এ বিষয়ে সোহেল কে কল দেওয়া হলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে অসৈজন্যমুলক আচরন করেন।