Search
Close this search box.
সর্বশেষ সংবাদ
নতুন উপাচার্য পেল পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় |||| জাবির নতুন উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান |||| বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক হলেন মোহাম্মদ আজম |||| শীর্ষ বাছাই শিয়াওতেকের বিদায়, সেমিফাইনালে সিনার |||| ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে কমল ইলিশের দাম |||| চিকিৎসার জন্য চেয়েছিলেন ছুটি, না পেয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মৃত্যু |||| শহীদদের তালিকায় এখন পর্যন্ত ৮০০ জনের নাম পাওয়া গেছে: নাহিদ ইসলাম |||| দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন বেষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত নাইমুল |||| অনবদ্য সেঞ্চুরিতে র‍্যাংকিংয়ে বড় লাফ লিটনের |||| শতাধিক পোশাক-কারখানায় ছুটি ঘোষণা |||| স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে নারীর মৃত্যু |||| সালমান এফ রহমানমুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক |||| প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাষ্ট্র সফরের বহর হবে ছোট |||| জমি নিয়ে বিরোধে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন |||| জার্মানিতে রাজ্যসভার নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থীদের চমক |||| পররাষ্ট্র সচিব পদ থেকে মাসুদ বিন মোমেনের চু‌ক্তি‌ভি‌ত্তিক নি‌য়োগ বাতিল |||| ১২ অতিরিক্ত সচিবকে বদলি |||| সাকিবের বোলিংয়ের সময় পাকিস্তানি ব্যাটারের ‘টাইমড আউট’ আতঙ্ক |||| মসজিদে যদি পাহারা না লাগে, মন্দিরে কেন প্রয়োজন: জামায়াত আমির |||| আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি ডলার |||| নতুন ডিবিপ্রধান কে এই রেজাউল করিম মল্লিক? |||| ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করলেই কাজে ফিরবেন চিকিৎসকরা |||| সময় বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করলেন চিকিৎসকরা |||| এইচএসসি পাসে চাকরি দিচ্ছে বিকাশ |||| লিটনের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ২৬২ রানে থামলো বাংলাদেশ |||| রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ |||| পুলিশের ১৬ ‍ডিআইজিকে বদলি-পদায়ন |||| সংক্ষিপ্ত সফরে নিউইয়র্ক যাবেন ড. ইউনূস |||| ঘুরে দাঁড়াতে চাই আওয়ামী লীগ |||| যৌক্তিক সময়েই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা |||| শিগগিরই ঢাকায় আনা হবে বিচারপতি মানিককে |||| পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব বিবেচিত হতে পারে: ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র |||| ১০ বছর সময় নিয়ে আত্মজীবনী লিখলেন আবুল হায়াত |||| নাহিদের পর মিরাজের আঘাত, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ |||| এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে সিআইডির অনুসন্ধান শুরু |||| বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নেই শাহিন আফ্রিদি |||| জাতীয় নির্বাচনের টাইম ফ্রেম জানতে চেয়েছে রাশিয়া: আমীর খসরু |||| পঁচা-নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চাই না: সোহেল তাজ |||| প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি নেতারা |||| শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরল সাফজয়ী দল |||| বন্ধ হচ্ছে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ |||| আমাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি হচ্ছে: সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ |||| পাকিস্তানে বেড়েই চলেছে হত্যাযজ্ঞ, যা বলছেন প্রধানমন্ত্রী |||| নতুন করে যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন সাখাওয়াত হোসেন |||| প্রধান উপদেষ্টার তহবিলে সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি-লেডিস ক্লাব-চিলড্রেন ক্লাবের অনুদান হস্তান্তর |||| ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের পর ২ মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার |||| অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বন্টন |||| ৩৭ দিন পর যাত্রী নিয়ে ছুটল মেট্রোরেল |||| ফারাক্কার গেট খুলল ভারত, বন্যার শঙ্কায় যেসব জেলা |||| বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৭ লাখ মানুষ |||| হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢামেকে ৩ উপদেষ্টা |||| সিএমএইচে নেওয়া হলো হাসনাত আব্দুল্লাহকে |||| বন্যায় ফ্লাইট মিস করা যাত্রীদের টিকিট বিনামূল্যে রি-ইস্যু করতে এয়ারলাইনসকে নির্দেশ |||| সর্বাত্মক সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে ড. ইউনূসকে শাহবাজ শরীফের চিঠি |||| শতরানের ওপর লিড নিয়ে থামলো বাংলাদেশ |||| সাকিবের ‘পক্ষ নিয়ে’ বিপাকে প্রিন্স মাহমুদ |||| গ্রিন সিগনালের অপেক্ষায় এস কে সিনহা |||| পাকিস্তানে স্কুলভ্যানে বন্দুক হামলায় ২ শিশু নিহত |||| বড় সংগ্রহের পর ইনিংস ঘোষণা পাকিস্তানের |||| বাঁধ খুলে অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে ভারত: তথ্য উপদেষ্টা |||| বাংলাদেশে গণতন্ত্র-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে জাতিসংঘ |||| ত্রিপুরায় বাঁধ খোলার বিষয় নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে: ত্রাণ উপদেষ্টা |||| বিদায়ী ভাষণে কেঁদে ফেললেন বাইডেন |||| বাংলাদেশে হত্যা ও অধিকার লঙ্ঘন: জড়িতদের বিচার চায় জাতিসংঘ |||| সায়েম-শাকিলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো পাকিস্তান |||| সিনেমাকে গুড বাই জানাচ্ছেন আমির খান? |||| গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘অনিশ্চিত’ রেখেই মধ্যপ্রাচ্য ছাড়লেন ব্লিঙ্কেন |||| বন্যায় আখাউড়া স্থলবন্দরসহ পানিবন্দি ১০ গ্রাম |||| গণশুনানি করে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত |||| রাজধানীসহ সারা দেশে দেড় হাজার ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভাঙচুর |||| ২ সপ্তাহ পেছানো হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা |||| ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া ক্যাপ্টেন আশিক পেলেন সেনাগৌরব পদক |||| ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া ক্যাপ্টেন আশিক পেলেন সেনাগৌরব পদক |||| বিআরটিএ’র সব ধরনের সেবা কার্যক্রম পুনরায় শুরু |||| দেশ পুনর্গঠনের পর নির্বাচন: ড. ইউনূস |||| আমাকে ‘স্যার’ বলার দরকার নেই: উপদেষ্টা নাহিদ |||| বগুড়ায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের ১০১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা |||| অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ড. ইউনূস |||| অস্ট্রেলিয়ায় সেমিফাইনালের পথে বাংলাদেশ |||| দায়িত্ব পেলেন নতুন চার উপদেষ্টা, ৮ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন |||| জোবরার তেভাগা থেকে আজকের প্রধান উপদেষ্টা |||| এস আলম ও তার পরিবারের সব সদস্যের ব্যাংক হিসাব তলব |||| টুকু-পলক-সৈকতকে তোলা হবে আদালতে, রিমান্ড চাইবে পুলিশ |||| বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতার অঙ্গীকার শ্রীলঙ্কার |||| রোববার খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান |||| ধানমণ্ডি ৩২-এ কাদের সিদ্দিকীকে বাধা, গাড়ি ভাঙচুর |||| রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের খবর ভুয়া: আসিফ নজরুল |||| দেশের সব থানার কার্যক্রম শুরু |||| রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা  |||| শেখ হাসিনার ফাঁসি সহ, চার দফা দাবিতে, বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ |||| ডিবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো হারুনকে |||| আহতদের দেখতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী |||| সুষ্ঠু তদন্তে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী |||| ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে অবসর, প্রজ্ঞাপন জারি |||| ঢাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে আটক ৪ |||| সিলেটে পুলিশ-শিক্ষার্থী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া |||| কোনোদিন ভাবিনি এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে: শেখ হাসিনা |||| ফেসবুক সচল হয়েছে |||| হত্যাকাণ্ডসহ সকল অনভিপ্রেত ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে |||| সান্তাহারে কোটা সংস্কার আন্দোলন; দুই ঘন্টা ট্রেন বন্ধ ||||

মুক্তিযোদ্ধাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

Loading

ডেস্ক রিপোর্ট:

দেশের স্বাধীনতা অর্জনে মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,তাদের সব সময় সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া উচিত,যাতে করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারা গর্ববোধ করতে পারেন। তিনি বলেন,‘মুক্তিযোদ্ধাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর কার্যালয়ের (পিএমও) হলে ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪’ এর নির্বাচিত ফেলোদের এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করা জাতি তাই বিশ^ দরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করেই চলবো। সেইভাবেই আমাদের গড়ে উঠতে হবে। তিনি বলেন,সব থেকে বড় কথা যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের কথাটা মাথায় রাখতে হবে। জাতির পিতা যে আহবান করেছিলেন ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে শক্রুর মোকাবিলা করতে হবে’, সেই আহবানে সাড়া দিয়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরিবার-সংসার সব কিছু ছেড়ে দিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল,যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে। তাঁদের সেই আত্মত্যাগের মধ্যদিয়েই আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন,মুক্তিযোদ্ধারা অনেকেই জীবন দিয়েছেন,পঙ্গুত্ববরণ করে শত্রুকে পরাজিত করে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছেন। কাজেই তাদের সবসময় সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে। তাদের সম্মানটা সর্বোচ্চ থাকবে। তিনি বলেন,একটা সময় এই মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিল এবং তিনি সরকারে আসার পর থেকেই তাদের সবরকম সহযোগিতা করেছেন ও করে যাচ্ছেন।
দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযোদ্ধারা যেন সম্মানিত হন সে কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘গর্ব করে যেন তারা বলতে পারেন আমি মুক্তিযোদ্ধা,আমার মতামতের সঙ্গে নাও থাকতে পারে,আমার দলে নাও থাকতে পারে। কিন্তু তারপরেও সে মুক্তিযোদ্ধা। কাজেই আমার কাছে সবাই সম্মানিত। আর সেই সম্মানটা যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষ তাঁদেরকে দেবে,সেটাই আমরা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ অর্জনকারিদের অভিনন্দন জানিয়ে ভবিষ্যতে এটি যেন কেউ বন্ধ করতে না পারে সেজন্য ট্রাস্ট ফান্ড করে এরজন্য স্থায়ী বন্দোবস্তো করারও ঘোষণা দেন অনুষ্ঠানে। কেননা ’৯৬ পরবর্তী তাঁর সরকারের দেওয়া ফেলোশিপ পরবর্র্তী বিএনপি জামায়াত সরকার বন্ধ করে দিলে বিদেশে তাদের অনেক দুরাবস্থায় পড়তে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যায়ে ৩৯ জন ও পিএইচডি পর্যায়ে ১১জনকে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৭ জন মাস্টার্স ডিগ্রি ও ১১ জন পিএইডি ফেলোকে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এওয়ার্ড হস্তান্তর করেন। এ পর্যন্ত বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রায় ৩৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১১৬ জন পিএইচডি ফেলোকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২১৫ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ২৬ জন পিএইচডি ফেলো তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের কার্যক্রমের ওপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট এর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ স্বাগত বক্তৃতা করেন। ফেলোশিপ লাভকারি কয়েকজন শিক্ষার্থীও অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকা দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন করে তাঁর সরকার দেশকে জাতির পিতার রেখে যাওয়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে যা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে। সে সময় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং আসন্ন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই আমাদের উপযুক্ত নাগরিক ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। যেখানে জনশক্তি,গভমেন্ট, ইকোনমি এবং সোসাইটিও স্মার্ট হবে এবং বিশে^র যে কোন দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে। তিনি বলেন,‘আমি একটা জিনিস দেখেছি আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা সব থেকে মেধাবী। তাদের শুধু সুযোগটা করে দেওয়া আর সেটাই আমাদের করতে হবে এবং সেটাই করে দিতে চাই। আর সেজন্যই এই প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপটা আমরা প্রবর্তন করেছি।’ শেখ হাসিনা বলেন,আমি এই ফেলোশিপটাকেও একটা ট্রাস্ট ফান্ড করে,আইন করে দিয়ে যাব যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এটা বন্ধ করতে না পারে। এটি মাঝ পথে বন্ধ হয়ে গেলে যে বিপদে পড়ে সে বিপদটা আমি নিজে দেখেছি। অনেককে আমরা নিজেরা আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধ করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে তারা যেন পড়াশোনা সম্পন্ন করে আসতে পারে সে ব্যবস্থাও করেছি। কিন্তু এটা করতে গিয়ে যারা চাকরীজীবী ছিলেন তাদের চাকরীও চলে যায়,বিএনপি তাদের চাকরী বাতিল করে দেয়। তিনি বলেন,এবারে আমরা যে ফেলোশিপটা দিলাম এটা চালু রাখতে গেলে ৫ হাজার কোটি টাকার একটা ফান্ড লাগে,আবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকেও আমরা স্কলারশিপ দিচ্ছি বা অন্যান্য ক্ষেত্রেও আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘তবে, চিন্তা সেই আমরা সেটা করতে পারবো,সে বিশ^াস আমার আছে। এখানে টাকাটা বড় কথা নয়,বড় কথা আমার দেশের ছেলেমেয়েরা বিদেশে গিয়ে উচ্চ ডিগ্রি নেবে,তারা ফিরে আসবে এবং তাদের গবেষণা দেশের উন্নয়নের কাজে লাগবে,এটাই সব থেকে বড় কথা।’ তিনি বলেন,টাকার জোগাড় হয়েই যায় কারন ২০০৯ সালে তিনি যখন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পান তখনকার বাজেট ছিল মাত্র ৬৮ হাজার কোটি টাকার। সেখানে চলতি অর্থবছরে তাঁর সরকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘এতবড় বাজেট যখন দিতে পেরেছি তখন ওটাও আমি জোগাড় করে ফেলবো অসুবিধা নাই,একটু সময় লাগবে কিন্তু করবো।’
তিনি বলেন,একবার অভিজ্ঞতা হয়েছে করার পরে থাকেনা,নষ্ট করে দেয়।এটা যাতে আর নষ্ট করতে না পারে সেজন্য ট্রাস্ট ফান্ড করে আমি এই ফেলোশিপ, স্কলারশিপ সহ বৃত্তি যেগুলো দিচ্ছি সেগুলোও যাতে থাকে সেজন্য সবকিছুকেই ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় নিয়ে এসে এটাকে একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করে দেব। যাতে করে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে বাবা-মা বা নিজের ওপর চাপ না পড়ে।
জাতির পিতার কন্যা বলেন,যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তোলার সময় যদি জাতির পিতা বিদেশে পাঠিয়ে পিএইচডি করিয়ে আনতে পারেন তাহলে আমরা এখন পারবোনা কেন? আসলে সেই চিন্তাটা থাকতে হবে।
তাঁর সরকার ইতোমধ্যে ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ-২০২২ নীতিমালা’ প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন,প্রতিবছর সরকারি কর্মকর্তা, বিশ^াবিদ্যালয় শিক্ষক, বেসরকারি প্রার্থীদের মধ্যে এই প্রদেয় ফেলোশিপের সংখ্যা নির্দিষ্ট রয়েছে।
তিনি বলেন,এখানে হয়তো আরো অনেকেই যোগ্য আছেন,যাদেরকে আমরা দিতে পারিনি। কিন্তু যখন আমরা একটা ভালো ফান্ড তৈরী করে ফেলতে পারবো তখন আশা করি আরো ভালভাবে দিতে পারবো। তবে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও আমরা দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমরা সবসময়ই চাই এই ফেলোশিপটার মাধ্যমে আমাদের উপযুক্ত নাগরিক গড়ে উঠবেন এবং আপনারা যে জ্ঞান অর্জন করবেন সেটা দেশের কাজে লাগাবেন। কারণ এই পরিবর্তশীল বিশে^র সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। আমরা কারো থেকে পিছিয়ে নয় বরং এগিয়েই থাকবো।
সরকার প্রধান নির্বাচিত ফেলোশিপ অর্জনকারিদের উদ্দেশ্যে বলেন,একটা কথা মনে রাখবেন এই টাকাটা আমাদের জনগণের টাকা। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই টাকা উপার্জন করে আপনাদের উচ্চশিক্ষা দিচ্ছেন। কাজেই সেই জনগণ যেন সেই সেবাটা পায় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন,জাতির পিতা ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন। কাজেই সেকথা মাথা রেখেই আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষ, কেউ অবহেলিত থাকবে না। এখানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আছে ও প্রতিবন্ধিরা আছে তাদের সকলের প্রতিই আমরা যথেষ্ট সহানুভুতিশীল,তারা যেন সমাজের সবরকম সুযোগ সুবিধাটা পায়। শিক্ষা-দীক্ষায় তারাও যেন পিছিয়ে না পড়ে। সেদিকে আমরা বিশেষ নজর দিচ্ছি।
তিনি বলেন,আমি সব থেকে আনন্দিত আমাদের একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হার্ভার্ডে যাচ্ছেন,আমাদের পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টার শেফিল্ডে যাচ্ছেন,অক্সফোর্ডে কেউ যাচ্ছেন। এরকম বিশে^র বহু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে তারা লেখাপড়া ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমি আশা করি আপনাদের এই শিক্ষা আমাদের বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে। কারণ লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা,এটা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না।
তাঁর একটানা সরকার পরিচালনার সুযোগ লাভে দেশের উন্নয়নের প্রসংগ টেনে তিনি বলেন,এই দেশকে যতটুকু এগোতে পেরেছি আজকে বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু আমি চাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন এই মর্যাদা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেভাবেই গড়ে তুলতে চাই। এজন্য শিক্ষা-দীক্ষা যা যা প্রয়োজন আমি যতক্ষণ সরকারে আছি সে ব্যবস্থা করে যাব। ভবিষ্যতের জন্যও করে যাব।

এই বিভাগের অন্য খবর