আজাদুর রহমান:
রমজান মাস আসলেই ইফতারে বাড়তি কিছু ফলের সমাহার থাকে। তবে রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা অনেকটা দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট করার চেষ্টা করে। দেশের বিভিন্ন জায়গার মতো বগুড়াতেও সিন্ডিকেটের বাড়তি সমাহার তৈরি হয়ে থাকে অনেক আগে থেকেই।
স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য সময়ে ক্রেতারা প্রয়োজন অনুসারে ফল কিনে থাকে। তবে রমজান মাসে ইফতার উপলক্ষে বাড়তি ফল না হলে যেন চলে না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বগুড়ার বেশ কিছু সিন্ডিকেট চক্রের ব্যবসায়ীরা ফলের বাজার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করে থাকে।
কয়েকজন ক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহে ফলের বাজার যেভাবে স্বাভাবিক ছিল চলতি সপ্তাহে তা বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। রমজান মাস শুরু হলে হয়তো দাম আরো বাড়তে থাকবে। গত বছরে যেভাবে রমজানে ফল কেনা হয়েছে এবছর দাম এতটাই বেশি হয়েছে ইফতারের সাথে ফল খাওয়া খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
বগুড়া থানা মোড় এলাকায় আলী রেজা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ি সুমন হোসেন জানান, গত সপ্তাহে মরিয়ম খেজুর ছিল ৪২০০ টাকা এ সপ্তাহে বেড়ে তা ৪৫০০ টাকা হয়েছে, গালা আপেল ৪৫০০ টাকা মন ছিল সেটি বেড়ে ৫১০০ টাকা হয়েছে, স্ট্রবেরি প্রতি কেজি ৪২০ টাকা যা বর্তমানে ৫০০ টাকার কাছাকাছি চলে গেছে এবং ভালো সাইজের টা ৬০০ টাকার উপরে, কমলা প্রতি কেজি স্বাভাবিক দামে ২২০ টাকা, ডালিম স্বাভাবিকভাবেই ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আঙ্গুর কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে, মালটা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০ টাকা কেজি এ সপ্তাহে তা বেড়ে ৩০০ টাকায় চলে গেছে, তরমুজ বড় সাইজের ৭০-৮০ টাকা আর ছোট সাইজ ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বড়ই ৬০-৮০ টাকা আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও জানান,স্বাভাবিকভাবে আড়ৎ মালিকরা দাম বৃদ্ধি করে থাকে আমরা খুব সীমিত লাভ করে থাকি।
বগুড়া ভ্যাট ও কাস্টমস অফিস সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিকের তুলনায় বাংলাদেশে আমদানি করা ১৩৫ টি পণ্যের উপর ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হয়। যার মধ্যে বিদেশি ফল অন্তর্ভুক্ত।
এ বিষয়ে জানতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার বগুড়া জেলা শাখার সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রেজভী জানান, প্রকৃত বাজার মূল্য সম্পর্কে কৃষি বিপণন বিভাগ মূল্য নির্ধারণ করবে। আমরা সেটি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে এবং সারা বছরের তুলনায় রমজান মাসে যেন নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিকভাবে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছি।