আজাদুর রহমান:
র্যাব-১২, বগুড়ার অভিযানে শান্ত হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মুনির হোসেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মকর্তা জানান, জেলার সারিয়াকান্দি থানাধীন কুপতলা শাহাপাড়া গ্রামের মোছাঃ রাবেয়া খাতুন (৫৫), স্বামী- মোঃ আবুল হোসেন বগুড়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার ছেলে আজহারুল ইসলাম শান্ত (২৪) সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে ডিগ্রী প্রথম বর্ষে লেখা পড়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটের কাজ করতো।
২ মার্চ বিকাল সাড়ে চারটায় তার ছেলে বগুড়া সদর থানাধীন চকফরিদ মহল্লার এতিম খানা রোডের মোস্তফা লজ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্র এজাহারনামীয় ১১ জন ও অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে ঘটনাস্থলে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানার মামলা নং-০৪ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ দায়ের হয়। এ ধরনের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডটি বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় আলোড়ন তৈরি করে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ মার্চ র্যাব-১২, বগুড়া ও র্যাব-১০, ফরিদপুর এর যৌথ অভিযানে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানাধীন চর কমলাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রাব্বি (২২), পিতা- মোঃ শহিদুল মুন্সি, সাং- মালতিনগর দক্ষিণপাড়া, থানা ও জেলা- বগুড়া’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক ছায়া তদন্তে জানা যায়, ভিকটিমের সাথে রতন পরিবারের দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে কিছুদিন পূর্বে রতন, তার ছোট ভাই সুমন ও তার মামা রেজা শান্ত গ্রুপের লোকজনের হাতে আহত হয়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই শান্তকে শান্তর পরিচিত একজনের মাধ্যমে ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে এসে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে এবং ভিকটিম মারা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া জেলার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।