ডেস্ক রিপোর্টঃ
কুমিল্লা সদরের রসূলপুর এলাকায় স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে এক স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর আরেক ট্রেন আটকে ঘটনাস্থলে প্রতিবাদ জানায় নিহত ছাত্রীর সহপাঠী ও স্থানীয়রা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ট্রেনটি ছাড়া পায়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের রসূলপুর মাজার গেট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রী মীম আক্তার রসূলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সে ওই এলাকার পূর্বপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘মীম স্কুলে যাওয়ার সময় রসূলপুর মাজার গেট দিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী পর্যটন এক্সপ্রেস একসঙ্গে ক্রস করে। ওই শিক্ষার্থী একপাশের ট্রেন দেখলেও অপরপাশের ট্রেন না দেখায়, চট্টলা এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর স্কুল শিক্ষার্থীরা এসে রসূলপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা মহানগর প্রভাতী ট্রেন আটকে রেললাইন অবরোধ করে। পরে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা বলছে, সকালে আনুমানিক সাড়ে ৯টায় স্কুলে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন রেলপথে পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেন দেখে পাশের রেল লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে পড়ে মীম। একই সময় ওই লাইনে ঢাকামুখী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি এসে তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, রসূলপুর রেলস্টেশনের পাশের লেভেল ক্রসিংটিতে নিরাপত্তা গেট বা কোনো ব্যারিয়ার নেই। যে কারণে প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহন দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়। এ ছাড়া রেললাইনের এক পাশে স্কুল থাকায় প্রতিনিয়ত লেভেল ক্রসিং দিয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায়, শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পারাপার হয়।