ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান দাবি করেছেন, তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে টয়লেট ক্লিনার মেশানো খাবার দেওয়া হয়েছে। এই দাবির ভিত্তিতে দেশটির একটি জবাবদিহিতা আদালত ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির ডাক্তারি পরীক্ষার অনুরোধ গ্রহণ করা হয়েছেন।
ইমরান খানের দাবি, খাবারে মিশ্রিত রাসায়নিক বুশরা বিবির পেটে জ্বালা সৃষ্টি করে, যা তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। আদালত দুই দিনের মধ্যে একটি বেসরকারি হাসপাতালে বুশরা বিবির এন্ডোস্কোপি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইমরান খান আদালতকে বলেন, ‘শওকত খানম হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আসিম ইউসুফ শিফা ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে বুশরা বিবির পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কারা প্রশাসন পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (পিআইএমএস) হাসপাতালে পরীক্ষা করার বিষয়ে অনড় ছিল।’
গত ১৫ এপ্রিল বুশরা বিবি ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে তার পছন্দের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মেডিকেল চেকআপের অনুমতি চেয়েছিলেন। জেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া খাবারে তাকে বিষ প্রয়োগ করা হচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন তিনি।
বুশরা বিবিকে তার বাণীগালার বাসায় সাব-জেল ঘোষণা করে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সেখানে বুশরা বিবি জানান, তিনি গ্যাস্ট্রিক এবং গলা-মুখে ব্যথায় ভুগছিলেন।
এর আগে ইমরান খান বলেছিলেন, বুশরা বিবির কারাবাসের জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সরাসরি দায়ী।
আদিয়ালা কারাগারে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের এনসিএ মামলার শুনানির সময় ইমরান বিচারক নাসির জাভেদ রানার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আদালতকক্ষে অতিরিক্ত দেয়াল তৈরি করা হয়েছে, যা একটি বদ্ধ আদালতের পরিবেশ তৈরি করেছে। আদালত তৎক্ষণাৎ ওই অতিরিক্ত দেয়াল অপসারণের নির্দেশ দিয়ে এক ঘণ্টার জন্য আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন।’
আদালত ইমরানকে শুনানি চলাকালীন সংবাদ সম্মেলন করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ইমরান জানান, তার বিবৃতি ভুল উদ্ধৃত করা হয়েছিল এবং সেগুলো স্পষ্ট করার জন্যই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে আদালত শুনানি ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেন।