ডেস্ক রিপোর্টঃ
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান অভিযোগ করেছেন, পণ্যের দাম বাড়লে সেটি মিডিয়ায় প্রচার হয়। কিন্তু দাম কমলে প্রচার করা হয় না।
আজ শনিবার রংপুর মহানগরীর সিটি বাজার মনিটরিং ও ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ভোজ্যতেলের গুণগত মান নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ভোক্তা-অধিকারের ডিজি বলেন, ‘বেগুনের কেজি ১০০ টাকা ছিল, এত দিন সেটি মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। বর্তমানে দাম কমে বেগুন এখন রংপুরে ৩০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ৮০ টাকা প্রচার হলেও বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। সেটি মিডিয়ায় প্রচার হয়নি। মিডিয়ায় উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি প্রচার হলেও পণ্যের দাম কমার বিষয়ে প্রচার হয় না, যার ফলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগটা গ্রহণ করে।’
তিনি বলেন, ‘নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কারণে দ্রব্যমূল্যের বাজার অনেকটাই কমছে। মনিটরিংয়ের কারণে বর্তমানে ৮০০ টাকার তরমুজ ২০০ টাকা, ৮০০ টাকার গরুর মাংস ৫৯৫ টাকা এবং ১০০ টাকার বেগুন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার মনিটরিংয়ের ফলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে, না হলে পাগলা ঘোড়ার মতো দাম বাড়ত।’
ভোক্তা-অধিকারের ডিজি বলেন, ‘পবিত্র রমজানে উত্তরাঞ্চলে দ্রব্যমূল্য কেন বাড়ছে সেই বিষয়ে মনিটরিংয়ে আমরা এসেছি। তাছাড়া আমরা বাজারে আসলে দাম কমে, চলে গেলে আবার দাম বাড়ে—এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য বাজার মনিটরিং করছি। অন্য জেলায় এই মনিটরিং করা হচ্ছে।’
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় ভেজাল, নকল প্রতিরোধে কাজ করছি। রংপুরের বাজারে ভোজ্যতেল অস্বাস্থ্যকর ড্রামে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া ড্রামে রাখার কারণে কোনটা সয়াবিন তেল আর কোনটা পাম ওয়েল, সেটা বোঝা মুশকিল। এসব বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এদিকে সিটি বাজার মনিটরিংয়ের সময় বিএসটিআইয়ে নকল লোগো ব্যবহারের দায়ে ১০ হাজার টাকা এবং ভোক্তা-অধিকার আইনে ১ হাজারসহ মোট ২ জন ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যঅন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন প্রমুখ।