নির্বাহী আদেশের গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন ২০২৩ সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র। আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ হতে পারে।
গত বছরের জানুয়ারিতে বিইআরসি আইন ২০০৩ এর ধারা ৩৪ সংশোধনের মাধ্যমে সরকারকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের শুল্ক নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে গত রোববার সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বার বার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না যা দূর্ভোগ আরও বাড়াবে। আমরা বাধ্য না হলে মূল্যবৃদ্ধি করবো না। প্রয়োজন হলে কমিশন সবার সঙ্গে কথা বলে তার নীতিমালা অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেবে।
উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকারের সব কিছু বাতিল করতে হবে এমন নয়। সব কিছু পর্যলোচান করে দেখা হবে। যেসব কাজ ভালো তা বহাল থাকবে। যেসব প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় সেগুলো বাদ যাবে। কারণ সরকারে ধারাবহিকতা তো বজা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বিশেষ বিধান আইনে আর নতুন কোন প্রকল্প নেওয়া হবে না। যে সব প্রকল্প চুক্তির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সেগুলো বন্ধ থাকবে। দায়মুক্তির বিধান নামে পরিচিত এই বিশেষ আইনে ইতোমধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলো বহাল থাকবে। আইনটি বাতিল করার বিষয়টি আমার একার বিষয় নয়। এজন্য উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক তা হবে তাতে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন থাকবে।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, এখন থেকে রিয়েল ইন্ডিকেটর দিয়ে পারফরম্যান্স মাপা হবে। পরিসংখ্যান দিয়ে মূল্যায়ন হবে না, মূল্যায়ন হবে গ্রাহক সেবা ও সন্তুষ্টির ভিত্তিতে। আমাদের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন করতে হবে। নতুন প্রজন্মের নতুন ধরনের আইডিয়া নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। দুর্নীতির দুষ্ট চক্রের পাশাপাশি স্তুতির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।