ডেস্ক রিপোর্ট:
৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থটিতে জিম্বাবুয়েকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দেয় ভারত। এই জয়ের মাধ্যমে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে মেন ইন ব্লুরা। এদিন ৫৩ বলে ৯৩* রানের ইনিংস খেলেন যশস্বী জয়সোয়াল। আরেক পাশে ৩৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক শুভমান গিল।
দল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাওয়ায় মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন জয়সোয়াল। তবে এক্ষেত্রে গিলের দোষ দেখছেন ভারতীয় সমর্থকরা। ইনিংসের শেষ দিকে গিল রানের গতি না বাড়ালে জয়সোয়াল সেঞ্চুরি পেত বলেই বিশ্বাস তাদের।
জিম্বাবুয়ের ১৫৩ রান তাড়ায় এক পর্যায়ে ২১ রান দরকার ছিল ভারতের। গিল তখন ৩৪ বলে ৪৮ ও জয়সোয়াল ৫০ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। তখনো ইনিংসের ৬ ওভার বাকি। অর্থাৎ, গিলের ফিফটি কিংবা জয়সোয়ালের সেঞ্চুরি হতেই পারত। দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল, ইনিংসের গতি কমিয়ে দেবেন গিল এবং জয়সোয়াল যাতে সেঞ্চুরি করে সেটি নিশ্চিত করবেন। তবে তার পরের দুই বলেই ৮ রান তুলে নেন গিল। তাতে জয়সোয়ালের সেঞ্চুরির আশাও ভেস্তে যায়।
গিলের আচরণে ক্ষুব্ধ রোহিত নামের এক সমর্থক বলেছেন, ‘শুভমান গিল ভাই, তুমি যশস্বী জয়সোয়ালের সেঞ্চুরি হতে দাওনি। আমার কথা মনে রেখো, জয়সোয়ালও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে তোমার জায়গা নিয়ে নেবে।’
মাহি সিরভি নামে একজন তো গিলের তুলনা দিলেন বাবরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুভমান গিল আজকে যা করেছেন: নিজের জন্য অভিষেক শর্মাকে নামাননি, ধীরগতিতে খেলেছেন যাতে সাঞ্জু স্যামসন, রুতুরাজ গাইকোয়াড় ও রিংকু সিং ব্যাট করতে না পারে, যশস্বী জয়সোয়ালের সেঞ্চুরি হতে দেননি; পুরোপুরি বাবর আজম।’
সেঞ্চুরির আগমুহূর্তে গিলের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল সেই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয় জয়সোয়ালকেও। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ম্যাচটি শেষ করে আসার কথাই ভেবেছি এবং কোনো উইকেট হারানো ছাড়াই দলের জয় নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’
প্রকাশক : রওশন জাহান রুম্পা
সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা মোছাঃ খালেকুন নাহার পলি
© Copyright 2024, All Rights Reserved Alphanewsexpress | Developed by Seoexpate.com