প্রথম সেশনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে ছিল কেবল একটি উইকেট। তবে লম্বা সময় পাকিস্তান উইকেটে আধিপত্য করলেও ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সবশেষ নাহিদ রানার পর মেহেদী হাসান মিরাজের আঘাতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে স্বাগতিকরা। পাকিস্তান হারিয়েছে ৭টি উইকেট।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭৮ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান করেছে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে আছেন আঘা সালমান ও মোহাম্মদ আলী।
আজ শনিবার বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন খেলা চলছে। যেখানে প্রথম দিন ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এমনকি মাঠে টস পর্যন্ত হয়নি। তবে দ্বিতীয় দিনে শঙ্কার সেই মেঘ কেটে যায়। টসও হয়েছে কাঙ্খিত সময়েই। টসভাগ্যে জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টসে জিতে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয়টিতেও ফিল্ডিং নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে একটি পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। কুঁচকির চোটে একাদশ থেকে ছিটকে গেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ।
দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। সেটিই হয়ে রইল দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে ৯৯ রান তুলে নিয়েছেন শান মাসুদ ও সাইম আইয়ুব।
দিনের প্রথম ওভার করতে আসেন তাসকিন আহমেদ। সকালে দারুণ সুইং আদায় করে নিয়েছেন তিনি। প্রথম পাঁচটি বলে আউটসুইং করালেও শেষ বলটি করান ইনসুইং। তাতেই আসে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। বোল্ড হয়ে যান আবদুল্লাহ শফিক।
প্রথম উইকেট পতনের পর দারুণ খেলতে থাকেন সাইম ও মাসুদ। সাইম কিছুটা ধীরে-সুস্থে খেললেও মাসুদ ব্যাট করেছেন ওয়ানডে মেজাজে। অপরাজিত ব্যাটার হিসেবে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে ৬২ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দশম ফিফটি।
এরপর ফিফটি করা অধিনায়ক শান মাসুদকে ৫৭ রানে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। মাসুদ ৬৯ বলে ২টি চারে এই স্কোর সাজান। মিরাজ এরপর আরেক ফিফটি করা সাইমকেও ফেরান। এই ওপেনার ১১০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৮ করার পর উইকেটরক্ষক লিটন দাসের কাছে স্টাম্পিং হন।
পেসার তাসকিন ফের উইকেটে আঘাত করেন। এবার তার শিকারে সৌদ শাকিল। ২৮ বলে ১৬ রান করা এই ব্যাটারকেও বোল্ড করেন এই ডানহাতি। এরপর পিচে টিকে থাকার মিশনে নামা বাবর আজম সাকিব আল হাসানের ফাঁদে পা দেন। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ককে এলবি করে ফেরান সাকিব। বাবর ৭৭ বলে ৩১ রান করেন।
তৃতীয় সেশনের শুরুতে পাকিস্তান শিবিরে আঘাত করেন নাহিদ রানা। ৬৩ বলে ২৯ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে ফেরান এই পেসার। এরপর নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন মিরাজ। তিনি সাকিবের ক্যাচে খুররম শাহজাদকে (১২) আউট করেন।
প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে হারলেও সিরিজ ‘ড্র’ করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই ম্যাচ ‘ড্র’ হলেও লাভ বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে ১-০ ব্যবধানেই সিরিজ জিতে নেবে টাইগাররা।