আজাদুর রহমান:
বগুড়ায় ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এজেন্ট ব্যাংক থেকে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (৮ জুলাই) রাতে ঢাকার ধামরাইয়ের তালতলা এলাকা থেকে র্যাব-১২ (বগুড়া) ও র্যাব-৪ (সাভার) এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সুজন রহমান। তিনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার এনামুল হকের ছেলে এবং ওই এজেন্ট ব্যাংকের ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন।
বগুড়া র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন জানান, র্যাবের যৌথ অভিযানে আদমদীঘির চাঁপাপুর ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেট গ্রাহকের দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুজনের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, হঠাৎ তার বড় চাচা নুরুল আর্থিক সংকটে পড়েন। একারণে তারা পরিকল্পনা করেন গ্রাহকের টাকা জমা নেওয়ার সময় রিসিপ্ট না দিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করবেন। সে অনুযায়ী টাকা গ্রাহকের একাউন্টে জমা না করে নিজেরা ভাগ করে নিতেন। অপরদিকে গ্রাহকের একাধিকবার আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অধিক টাকা উত্তোলন করতেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গ্রেপ্তার সুজনকে আদমদীঘি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলতি বছরের ২৩ মে মার্জিয়া বেগম নামের এক গ্রাহক ওই ব্যাংকে তার জমা করা টাকা উত্তোলন করতে এসে অ্যাকাউন্টে টাকা কম দেখতে পান। একই দিন ওই ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুজন সপরিবারে নিরুদ্দেশ হন। এতে সুজনের টাকা আত্মসাতের ঘটনা সামনে আসে। এ সময় শতাধিক গ্রাহক টাকা ফেরত নিতে এসে দেখেন তাদের হিসাব নম্বরে জমা করা টাকা নেই।
গত ২৮ মে এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম তার আপন ভাতিজা ক্যাশিয়ার সুজন ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এদিকে এজেন্ট নুরুল গ্রাহকের কাছে দায়বদ্ধ থাকলেও আমানতের টাকা ফেরত দিতে না পারায় গত ১১ জুন ইসলামী ব্যাংক পিএলসির দুপচাঁচিয়া শাখার ব্যবস্থাপক কাজী মিজানুর রহমান নুরুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর থেকে দুই মামলার সকল আসামি পলাতক রয়েছেন।
গত ২৩ জুন গ্রাহকরা তাদের আমানতের টাকা ফেরত ও আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে এজেন্ট আউটলেটের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। ঘণ্টা খানেক পর চাঁপাপুর এজেন্ট আউটলেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম আমানতকারীদের বুঝিয়ে তালা খুলে ফের কার্যক্রম শুরু করেন।