২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ‘টাইমড আউট’ ছিল আলোচনার অন্যতম একটি বিষয়। সাকিব আল হাসানের বোলিংয়ের সময় এই আউট হন শ্রীলংকার ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টে আাবারও ফিরল সেই টাইমড আউট স্মৃতি।
গত বছরের সেই ‘টাইমড আউট’ ছিল ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে শ্রীলংকান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে না পারায় আউটের আবেদন জানান বাংলাদেশের তখনকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এমন আউটের নিয়ম থাকায় আম্পায়ারও উঁচিয়ে ধরেন আঙুল। যদিও এই আউটে ‘ক্রিকেটীয় চেতনা’ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে নিয়মের মধ্যে থাকায় আউটের পক্ষেও রায় দিয়েছেন সাবেক অনেক ক্রিকেটার।
সেই ঘটনার পর থেকেই ‘টাইমড আউট’ বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয়ে যান ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ-শ্রীলংকার সিরিজ শেষে কিংবা ম্যাচের সময় এমন উদযাপন করতে দেখা গেছে। স্বয়ং ম্যাথিউসকেও দেখা গেছে ‘টাউমড আউট’ উদযাপন করতে।
আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির পরপরই দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মোহাম্মদ আলীকে বাংলাদেশের বোলারদের শিকারে পরিণত হন পরপর দুই বলে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টির জন্য সেভাবে প্রস্তুত ছিলেন না পরের ব্যাটার আবরার আহমেদ। ফলে ক্রিজে আসতে দেরি হচ্ছিল তার।
ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে আবরার ঢুকছিলেন দৌড়ে দৌড়ে। সেই সময় আবার তার গ্লাভসও পরে যায়। সেটা তাড়াহুড়ো করে উঠিয়ে আবারও দৌড় দেন তিনি। বোঝাই গেছে, তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তখন মজা করে হাসতে হাসতে আঙুল তোলেন সাকিব। বিষয়টি নিয়ে হাসিতে ফেটে পড়েন মাঠে, ড্রেসিংরুমে, ডাগআউটে এবং কমেন্ট্রি বক্সে থাকা অন্যরাও। বিষয়টি বেশ কয়েকবার দেখানো হয় টিভিতে। পরবর্তীতে ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।