দেশ বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত। ছয় দশকের শিল্পীজীবনে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কাজ। অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখি ও নির্মাণ- চলেছে একসঙ্গে। বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও শিল্প-সংস্কৃতি থেকে তাকে বিচ্যুত করা যায়নি। বরং অভিনয়ের জন্য ছেড়েছেন লোভনীয় সব চাকরি। শিল্পীর জীবনের এই শৈল্পিক দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার গল্পগুলো এবার তুলে ধরা হয়েছে একটি মলাটে। সম্প্রতি আবুল হায়াত নিজের আত্মজীবনী গ্রন্থ লেখার কাজ শেষ করেছেন। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’।
বরেণ্য এই অভিনেতা জানান, তার ডাকনাম রবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সূত্রে অভিনেতার বাবা আদর করে তাকে রবি ডাকতেন। সেখান থেকেই বইয়ের নাম ‘রবি পথ’ রেখেছেন। যে গ্রন্থের মাধ্যমে আবুল হায়াত জানাবেন শৈশবের রবি থেকে আজকের আবুল হায়াতের পুরোটা পথ। ইতিমধ্যেই লেখার কাজ শেষ। চলছে প্রচ্ছদ অলংকরণ। আর সেটির দায়িত্ব নিয়েছেন অভিনেতার মেয়ে অভিনেত্রী ও চিত্রকর বিপাশা হায়াত।
আবুল হায়াত জানান, বইটি লিখতে টানা ১০ বছর সময় নিয়েছেন তিনি। যদিও বইটি হবে বড়জোর ৩শ পৃষ্ঠার। প্রকাশ করবে সুবর্ণ প্রকাশনী। এতটা সময় লাগার কারণ হিসেবে অভিনেতা বলেন, ‘আমি আসলে খুবই অলস প্রকৃতির লোক। একটু লিখি, আবার ফেলে রাখি। দেখা গেল, কোনো দিন এক চ্যাপ্টার লিখেছি, কোনো দিন এক পৃষ্ঠা, তারপর বহুদিন লিখিইনি। মূলত বড় মেয়ে বিপাশার চাপে লেখাটা শেষ করতে হয়েছে। কারণ, কিছুদিন পর পর ওর তাগাদা আর নিতে পারছিলাম না। এরমধ্যে ছোট মেয়ে নাতাশা প্রকাশনীও ঠিক করে রেখেছে। বলা যায়, ওদের দুজনের চাপে পড়েই লেখাটা ১০ বছরের মাথায় শেষ করতে পারলাম।’
দুই মেয়ের ইচ্ছে ছিল আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বাবার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে বইটি প্রকাশ করবেন। কিন্তু সেটি সম্ভব না হলেও, সেপ্টেম্বরেই প্রকাশ হবে ‘রবি পথ’।
আত্মজীবনীতে কী থাকছে এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হায়াত বলেন, ‘জন্ম থেকে এই পর্যন্ত যেগুলো আমার মনে হয়েছে বলা দরকার, সেগুলোই লিখেছি। আসলে লিখতে গেলে বোঝা যায়, কোনটা লেখা দরকার, আবার অনেক কিছু মনে হয়- না লিখলেই ভালো। আশা করছি, সবকিছু মিলিয়ে আমার পুরো যাত্রাপথ জানা যাবে এতে।’
প্রকাশক : রওশন জাহান রুম্পা
সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা মোছাঃ খালেকুন নাহার পলি
© Copyright 2024, All Rights Reserved Alphanewsexpress | Developed by Seoexpate.com