আজাদুর রহমান:
বগুড়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়, পোষ্ট অফিসসহ পার্টি অফিসের সামনে রাখা কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর সহ আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করেছে ছাত্ররা। এসময় দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রদের সাথে যুক্ত হয় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের একাংশ।
বেলা ২টা থেকে বিভিন্ন কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সাতমাথা এলাকায় প্রবেশ করে এসময় আওয়ামী লীগ অফিস থেকে ছাত্র লীগের কর্মীরা মিছিল প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ছাত্রবা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং তান্ডব শুরু করে।
এসময় জেলা স্কুলের ভেতরে থাকা ছাত্ররা মূল ফটক ভেঙ্গে বের হলে আন্দোলন আরো তীব্র আকার ধারণ করে এবং তান্ডব শুরু করে আওয়ামী লীগ পার্টি অফিস ও পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ ভাংচুর ও তান্ডব করে।
এসময় প্রায় ৮-১০টি মোটর সাইকেল ভেঙ্গে চুরমার করে। এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আন্দোলনকারীদের তোপের মূখে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা পালিয়ে যায়। তবে পুলিশের উপস্থিতি একেবারেই নিরব ছিল।
এ সময় সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের একাংশ। এ সময় দৈনিক করতোয়ার ফটোগ্রাফার শফিক, যমুনা টেলিভিশন বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মেহেরুন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মরত সাংবাদিক, বগুড়া টাউন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সামিম কামাল সহ অর্ধশতাধিক পথচারী আহত হয়েছেন। তবে সামিম কামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে বগুড়ার প্রধান ডাকঘর, বগুড়া জেলা স্কুলের গেট, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সহ সাতমাথার বিভিন্ন ফুটপাতের দোকান ভাঙচুর ও বিভিন্ন বিলবোর্ড ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। এখনো তান্ডব চলছে।