আজাদুর রহমান:
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে কুকুরের কামড়ে ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে নারী শিশু ছাড়াও বিভিন্ন বয়সী মানুষ রয়েছেন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। রোববার বিকেল থেকে আজ সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সারিয়াকান্দি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে একটি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করে গ্রামবাসী। এদিকে হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় তাদেরকে ছুটতে হয়েছে জেলা সদরে। সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন সরদার জানান, আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা হাসপাতালে আসা কুকুরে কামড়ানো ২২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় তাদেরকে জেলা সদরে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সারিয়াকান্দি উপজেলার দেলুয়াবাড়ি, ধনতলা, কুপতলা, পাকুল্যা, কয়েরপাড়া, কুড়িবাড়ি, নিজ বাটিয়া, ধাপ, ধলির কান্দি বাগবের গ্রামের ২২ জন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ধনতলা গ্রামের আসাদ (৪০), পাকুল্যা গ্রামের সায়েদজ্জামান (৫০), বাগবের গ্রামের সাদেকুল (১৫), ধাপ গ্রামের কমেলা বেগম (৫০) জানান, গ্রামের একটি কুকুর দৌড়াদৌড়ি করছিল। হঠাৎ তাদের ওপর আক্রমণ করে কামড়ে পালিয়ে যায়। সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান বলেন, পৌর এলাকার নিজ বাটিয়া গ্রামে কুকুরের কামড়ে কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে গ্রামের লোকজন একটি কুকুরকে ধাওয়া করে পিটিয়ে হত্যা করে। সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহ আলম বলেন, কুকুর জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। সেসময় মানুষজন ছাড়াও গবাদিপশুকে সামনে পেলে কামড় দেয়। সারিয়াকান্দিতে ২২ জনকে আক্রমণ করা কুকুরগুলো জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জলাতঙ্কে আক্রান্ত কুকুর মানুষ কিংবা গবাদিপশুকে কামড়ালে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে হয়। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এখানে ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত নেই। তারপরও যারা আসছেন তাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে না থাকলে বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে হবে।